করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করতে নতুন করে গত ১ জুলাই থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। এই লকডাউনকে সফল করার লক্ষ্যে নওগাঁয় জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার ভিডিপি ও গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি মাঠে কাজ করছেন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য একটি করে শিক্ষকদের দল লকডাউন বাস্তবায়নে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। যার প্রেক্ষিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে ঘরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ও চলমান লকডাউনে করনীয় বিষয়গুলো পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৭২টি ওয়ার্ডের প্রতিটি গ্রামের মোড়ের চা-স্টলে, ছোট ছোট সাপ্তাহিক হাট ও বাজারে আসা মানুষদের লকডাউন সফল করার লক্ষ্যে শিক্ষকরা কাজ করছেন। এছাড়া বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে বের হওয়া মানুষদের বুঝিয়ে ঘরে ফিরিয়ে দেওয়া, লকডাউন চলাকালীন সময়ে কোন দোকানগুলো খোলা রাখা যাবে আর কোনগুলো খোলা রাখা যাবে না ইত্যাদি বিষয়ে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষদের সতর্ক করার পাশাপাশি সচেতন করছেন শিক্ষকরা। গ্রামের যেসব মানুষরা মাস্ক ছাড়াই বাহিরে বের হচ্ছেন সেসব মানুষকে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে ও নিজের আশেপাশের মানুষকে রক্ষা করতে অবশ্যই পালনীয় স্বাস্থ্যবিধি বিশেষ করে মাস্ক পড়ার বিষয়ে সচেতন করছেন। এছাড়াও মাস্কবিহীন মানুষদের মাস্ক প্রদান করা হচ্ছে।
রাণীনগর উপজেলায় গ্রামের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে শিক্ষকদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩টি ওয়ার্ড মিলে স্থানীয় পর্যায়ের ২০জন শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত ১টি করে দল গঠন করা হয়েছে। আর প্রতিটি দলের কার্যক্রমকে আরও বেগবান ও পর্যবেক্ষন করতে উপজেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তাকে ওই দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে ২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছেন। এতে করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরা করোনাভাইরাস সম্পর্কে আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, লকডাউন সফল করার লক্ষ্যে শিক্ষকরাও মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। এই কয়েক দিনে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরাও অনেকটাই সচেতন হওয়ার কারণে লকডাউনকে সফল করার লক্ষ্যে গৃহিত কর্মকাণ্ডগুলো বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সমাজের সকল স্তরের মানুষদের অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ