বাগেরহাটে দিন যতো যাচ্ছে ঢিলেঢালা হয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জারি করা কঠোর লকডাউন। স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। অলি-গলির খোলা থাকা ছোট দোকানগুলোতে লোকজন দলবেঁধে আড্ডা দিচ্ছে। শহর, হাট-বাজারসহ সড়কে লোক সমাগম বেড়েই চলেছে।
সড়কে যন্ত্রচালিত রিক্সা-ভ্যান, ইজিবাইক, নসিমন-করিমন, মহেন্দ্র, মটরসাইকেল, কার ও মাইক্রোবাস চলাচল বেড়েছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলারক্ষা বাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়ি দেখলেই অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া লোকজন আড়ালে চলে যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বহিনীর সদস্যরা চলে গেলেই লোকজন আবার সড়কে জটলা করছে। চলছে চোর-পুলিশ খেলা।
জনসাধারণের অসহযোগিতার কারণে বাগেরহাটে লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। লকডাউন না মানায় জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ৪৪টি মামলা দিয়ে ৪৯ জনকে ২৪ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করেছে।
বাগেরহাটে লকডাউনের মধ্যে জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল অব্যাহত রেখেছে। জেলার প্রবেশদ্বারসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেড় হলেই চেকপোস্টে জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা