শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

মাদারীপুর তিন পৌরসভায় জটিল হচ্ছে নির্বাচনী অঙ্ক

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর

মাদারীপুর তিন পৌরসভায় মেয়র পদে ১১ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৩ জন এবং কাউন্সিলর পদে ১১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিন পৌরসভার মধ্যে আওয়ামী লীগ তিনটিতেই নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও বিএনপি মাত্র একটি পৌরসভায় ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। প্রার্থীরা সাধারণ ভোটারদের মন জয় করতে চষে বেড়াচ্ছেন দ্বারে দ্বারে। বিভিন্ন ঘটনায় জটিল হয়ে উঠেছে মাদারীপুরের নির্বাচনী হিসাব। মাদারীপুর : এই পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের টিকিট পান খালিদ হোসেন ইয়াদ। বিএনপির টিকিট পেয়েছেন মিজানুর রহমান মুরাদ। এক সময় মাদারীপুর পৌরসভা বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত থাকলেও বিএনপি গ্রুপিং দ্বন্দ্বের কারণে ভোটাররা দিশাহারা ছিল। কিন্তু বর্তমানে বিএনপিতে গ্রুপিং না থাকায় এই নৌকা-ধানের শীষের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পান সিরাজুল ইসলাম স্বপন ও বাংলাদেশ ইসলামী শাসনতন্ত্রের আচমত আলী। স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন খোকন শরীফ মোবাইল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। কালকিনি : নানা নাটকীয়তার পর আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পান এনায়েত হোসেন হাওলাদার। উপজেলা আওয়ামী লীগের সুপারিশ করা প্রার্থীদের বাদ দিয়ে তাকে এই মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়েছে বলে নানা ঘটনার সৃষ্টি হয়। এদিকে আবুল কালাম আজাদও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সমর্থন নিয়ে মেয়র পদে প্রার্থী হন। অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন না চেয়ে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনপন্থি মশিউর রহমান সবুজ ও লোকমান সরদার। এখানে বিএনপি কোনো প্রার্থী না দেওয়ায় তৃণমূলে ক্ষোভ রয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামী শাসনতন্ত্রের মেয়র প্রার্থী লুত্ফর রহমান নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। শিবচর : এই পৌরসভায় মেয়র পদে চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করলে প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে তিনজনের মনোনয়ন বাতিল হয়। পরে আপিলে স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন খান তোতা নির্বাচন করার সুযোগ পান। তবে আওয়ামী লীগ আওলাদ খানকে মনোনয়ন দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, পৌর মার্কেটের আদায় করা ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয় আওলাদ খানকে। এ ঘটনায় জেলের ঘানিও টানতে হয়েছে সাবেক এই মেয়রকে। তাকে মনোনয়ন দেওয়ায় সাধারণ নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ। তবে আওলাদ খান বলেন, বিষয়টি পৌরসভার তৎকালীন হিসাবরক্ষকের ভুল। আমি কোনোভাবেই ওই ঘটনায় জড়িত ছিলাম না। এদিকে বিএনপির বাতিল হওয়া মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর কামাল জানান, আমাকে রাজনৈতিকভাবে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর