সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বালু উত্তোলনে ঝুঁকিতে সেতু

দাউদকান্দি প্রতিনিধি

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মেঘনা সেতুর দুই পাশের তিন কিলোমিটার এলাকার মধ্যে সব ধরনের বালু উত্তোলন বন্ধে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে উচ্চ আদালত ও সেতু মন্ত্রণালয়ের। এ নির্দেশ উপেক্ষা করে সেতু সংলগ্ন এলাকায় মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে একটি চক্র। ফলে সেতুর পিলার ক্ষতিগ্রস্ত ও আশপাশের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জানা যায়, একটি বেসরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নদী তীরবর্তী কেনা সম্পত্তি রক্ষায় এবং গ্রামবাসীর বাড়িঘরের ক্ষতি হওয়ার অভিযোগে ২০১৪ সালে উচ্চ আদালতে মামলা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ এলাকার বালুমহল ইজারা দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। উচ্চ আদালত ও সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সম্প্রতি স্থানীয় একটি চক্র চালিভাঙ্গা এলাকায় ও মেঘনা সেতুর পিলার থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেন। নদীর তীরবর্তী চালিভাঙা, নলচর এলাকাবাসী অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বাধা দিলেও কাজ হচ্ছে না। সরেজমিন দেখা যায়, নৌকাযোগে নদীতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুর্বৃত্তরা মহড়া দিয়ে ২০টি ড্রেজারের মাধ্যমে নদীর কোল ঘেঁষে বালু উত্তোলন করছে। চালিভাঙা গ্রামের এক কৃষক জানান, সন্ত্রাসীরা গ্রামবাসীকে ভয় দেখিয়ে বালু তুলছে। এক সপ্তাহ ধরে এ অবস্থা চললেও প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। গ্রামবাসীর অভিযোগের পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযুক্ত পাঁচজনকে আটক করলেও রাতেই তাদের ছেড়ে দেয়। মেঘনা থানার ওসি এএসএম সামছুদ্দিন জানান, নদীতে এক সপ্তাহ ধরে অবৈধ বালু উত্তোলন হচ্ছে। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেছে পুলিশ। পুলিশ যাওয়ার সংবাদ শুনে বালু উত্তোলনকারীরা স্থান পরিবর্তন করে। ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করায় তাদের বিরুদ্ধে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তবে আমরা বালু উত্তোলন বন্ধে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

সর্বশেষ খবর