সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

রংপুর আওয়ামী লীগ তিন ভাগ

জেলা পরিষদ নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর আওয়ামী লীগ তিন ভাগ

জেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা তিন ভাগে বিভক্ত। চেয়ারম্যান পদে চার সমর্থন প্রত্যাশীর পক্ষ নিয়ে কেন্দ্রীয় সমর্থন আদায়ে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে জোর লবিংয়ে ব্যস্ত। সমর্থন প্রত্যাশীরা নিজের পক্ষের নেতাদের নিয়ে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তবে গত শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রে জনমত জরিপকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় সমর্থন পাওয়ার জন্য রংপুরের চার নেতা আবেদন করেছন। এরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোতাহার হোসেন মণ্ডল মওলা, সহসভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাসুরের ছেলে সাদাকাত হোসেন বকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মতিয়ার রহমান এবং জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু। এই চারজনের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে তত্পর রয়েছেন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও মোতাহার হোসেন মণ্ডল মওলা। উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন মমতাজ ও মোতাহার। ফলে তিনটি পৌরসভায়ই দলীয় মেয়র নির্বাচিত হন। এমনকি ৭৬টি ইউনিয়নের ৫৫টিতে দলীয় চেয়ারম্যান বিজয়ী হয়েছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চারজন প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনেও এই দুই নেতা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।

অপরদিকে মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু দীর্ঘদিন জেলা জাসদের সভাপতি ছিলেন। ৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে মহানগর কমিটির সদস্য হন। ২০১০ সালে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে কমান্ডার নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তাকে দলীয় কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর ভাসুরের ছেলে সাদাকাত হোসেন বকুল ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা পীরগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। এদিকে, জেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মমতাজ, মোতাহার ও বাবলুর পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছেন। আর সাদাকাত হোসেন বকুল আত্মীয়তার সুবাদে দলীয় মনোনয়ন পাবেন এই আশায় প্রহর গুনছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু বলেন, দলীয় সমর্থন পাওয়ার ক্ষেত্রে কেউ না কেউ তো কোনো প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেবেন। তবে দল যাকে সমর্থন দেবে তার পক্ষেই সবাই কাজ করবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর