রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

অ্যানেসথেটিস্ট নেই ৫ বছর ধরে চিকিৎসকের ২০ পদ শূন্য

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

অ্যানেসথেটিস্ট নেই ৫ বছর ধরে চিকিৎসকের ২০ পদ শূন্য

১৯১৭ সালে ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে ২০ শয্যা দিয়ে শুরু হয় দাতব্য একটি চিকিৎসালয়। কালের বিবর্তনে এই দাতব্য চিকিৎসালয়টি ৫০ শয্যা হিসাবে উন্নীত করে নামকরণ করা হয় ‘ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে’। বর্তমানে এ হাসপাতালটির শয্যাসংখ্যা ১০০। হাসপাতালটি ভবন এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম আধুনিক হলেও বাড়েনি সেবার মান। দিনের পর দিন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই চলছে হাসপাতালটি। চিকিৎসকের পদ রয়েছে ৩৭টি। রয়েছেন মাত্র ১৭ জন। বর্তমানে ২০টি পদ খালি রয়েছে। সিনিয়র ও জুনিয়র কনসালটেন্ট পদ রয়েছে ১২টি। কর্মরত রয়েছেন ছয়জন। চার বছর ধরে সিনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারী ও জুনিয়র কনসালটেন্ট চক্ষু পদটি শূন্য রয়েছে। দুই বছর ধরে নেই অর্থোপেডিক্স সিনিয়র কনসালটেন্ট। এক বছর ধরে নেই চর্ম ও যৌন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট। এছাড়া অ্যানেসথেটিস্ট নেই পাঁচ বছর ধরে। এদিকে, সহকারী রেজিস্টার, গাইনি ও সার্জারি, সহকারী রেজিস্ট্রার মেডিসিন পদটি রয়েছে খালি। হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক কর্মকর্তা নেই দীর্ঘদিন ধরে। চার বছর ধরে নেই প্যাাথলজিস্ট, তিন বছর ধরে নেই রেডিওলজিস্ট। রেডিওলোজিস্ট না থাকায় হাসপাতালে এক্স-রে করা হলেও কোনো প্রতিবেদন দেওয়া হচ্ছে না। একই কারণে বন্ধ রয়েছে আল্ট্রাসনোগ্রাম। শুধু চিকিৎসক সংকট নয়, হাসপাতালটিতে সংকট রয়েছে কর্মীরও।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির মোট পদ রয়েছে ১৬টি। বর্তমানে রয়েছেন মাত্র ৫ জন। সেবা তত্ত্বাবধায়ক ও উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক পদ দুটি শূন্য রয়েছে। চারজন নার্সিং সুপারভাইজার থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র একজন। অফিস সহায়ক পদে ২০ জনের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। ১৬ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর স্থলে রয়েছে ৬ জন। ওয়ার্ড মাস্টারের একটি পদ থাকলেও সেটি শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) গণেশ কুমার আগরওয়ালা জানান, হাসপাতালে লোকবল কম থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর