মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থইথই পানি, পাঠদান অনিশ্চিত

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থইথই পানি, পাঠদান অনিশ্চিত

সাতক্ষীরার একটি স্কুলের মাঠে হাঁটুপানি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সাতক্ষীরায় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ ও আঙিনায় থই থই করছে পানি। গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তিন দিনেও পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষকরা। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস বলছে স্কুল ও কলেজের আঙিনা থেকে পানি না নামলে পাঠদান সম্ভব হবে না। করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। তাদের সেই আনন্দে ছাই ঢেলেছে আশ্বিনের বৃষ্টি। জেলা সদরের ভোমরা রাশেদা বেগম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ছাপিয়ে পানি উঠেছে শ্রেণিকক্ষে। বিদ্যালয়টির নিচতলা সম্পূর্ণ পানিতে নিমজ্জিত। মাঠে কোমরপানি থাকায় গতকাল শ্রেণিকক্ষে যেতে পারেনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অন্যত্র ক্লাস করানোর কথা ভাবছে শিক্ষা অফিস। সাতক্ষীরা শহরে বেসরকারি ছফুরননেছা মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণও পানিতে ভাসছে। এখনো শ্রেণিকক্ষে জমে আছে হাঁটুপানি। কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুন নাহার জানান, সামন্য বৃষ্টি হলেই কলেজের ভিতরে হাঁটুপানি জমছে। পানি নিষ্কাশনের সব পথ বন্ধ। অফিসের যাবতীয় কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জরুরিভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও কলেজের দুর্ভোগ লাঘবে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন অধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীরা। এদিকে সাতক্ষীরা সদরের মাছখোলা হাইস্কুল, মাছখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে ডুবে আছে কয়েক মাস ধরে। জেলা সদরের বড়দল প্রাইমারি স্কুলের অবস্থাও একই। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় এখানকার শিক্ষার্থীরা রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নলতা মোবারকনগর বাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। কালিগঞ্জ উপজেলার ভদ্রখালি প্রাইমারি স্কুল মাঠেও এখন হাঁটুপানি। আশাশুনির প্রতাপনগর ফাজিল মাদরাসা, প্রতাপনগর ইউনাইটেড একাডেমি ও কল্যাণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুড়িকাহুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুড়িকাহুনিয়া মহিলা মাদরাসা, প্রতাপনগর মহিলা মাদরাসা, কল্যাণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতাপনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কোমরপানিতে ডুবে আছে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সাতক্ষীরার শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে পানি উঠে গেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে বিকল্প ব্যবস্থায় ক্লাস করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এদিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, বিজিবি ক্যাম্প, ঋশিল্পী, বিসিক শিল্পনগরীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে।

সর্বশেষ খবর