গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার নলুয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে জোয়ারের পানিতে প্রায় ২৫ একর জমির বাঙ্গি খেত ডুবে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শতাধিক কৃষক। খেত পরিদর্শন করেছে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। কোটালীপাড়ার বাঙ্গির সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। নলুয়া, বরুয়া, হিজলবাড়ী, মাছপাড়া, চকপুকুরিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামের ২৫০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গির ফলন হয়েছে ভালো। খেত থেকে বাঙ্গি তোলার আগ-মুহূর্তে গত বুধবার নলুয়া গ্রামে কে বা কারা রাতের আঁধারে বাঁধ কেটে দেয়। এতে শতাধিক কৃষকের ২৫ একর বাঙ্গি খেতে জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়ে যায়। ফসল হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। জমির ফসল নষ্ট হওয়ায় সংসার চালনা ও ঋণ পরিশোধ করা কৃষকের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত খেত থেকে পানি নিষ্কাশনসহ ক্ষতি পূরণের দাবি জানিয়েছেন কিষান-কৃষানিরা। নলুয়া দক্ষিণপাড়ার কুসুম বিশ্বাস জানান, তিনি ধারদেনা করে দেড় হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ করেছেন। জমিতে পানি ঢুকে পড়ায় তার খেতের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। বাঙ্গি চাষ করে যে লাভ হয় তা থেকে দেনা দেওয়ার পর ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার জন্য খরচ করেন। এ বছর কীভাবে সংসার চালাবেন, ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা করাবেন বা দেনা দেবেন তা নিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। একই গ্রামের সুমিন বিশ্বাস, বিষ্ণু বাইন, যুগল বাইন, জয়দেব রায় বলেন, রাতে কে বা কারা রাতে বাঁধ কেটে দিয়েছে।
সকালে এসে তারা দেখেন খেত তলিয়ে গেছে। এই ফসলের ওপর তারা নির্ভরশীল। ফলে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন। কোটালীপাড়ার কলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. বিজন বিশ্বাস জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে কারা যেন রাস্তা কেটে মাছ ধরেছে। এতে নলুয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাঙ্গি খেতে পানি ঢুকে পড়ে। এ গ্রামের অধিকাংশ কৃষক বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে বাঙ্গি ও তরমুজ চাষ করেন। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রমেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত খেত পরিদর্শন করেছি। তালিকাও তৈরি করছি যাতে ক্ষতিগ্রস্তরা সহযোগিতা পান। কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য করার চেষ্টা করা হবে।
