রবিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্লাস্টিক-পলিথিন বর্জ্যে হুমকিতে কুয়াকাটা সৈকত

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্লাস্টিক-পলিথিন বর্জ্যে হুমকিতে কুয়াকাটা সৈকত

প্লাস্টিক-পলিথিন বর্জ্য দূষণের কবলে পড়েছে পর্যটন কেন্দ্র সাগরকন্যা কুয়াকাটার সৈকত। জোয়ারে ভেসে আসে চিপস কিংবা বিস্কুটের খালি প্যাকেট ও পলিথিন। বেলাভূমিতে উঁকি দিচ্ছে প্লাস্টিক বোতল। জিরো পয়েন্ট থেকে দুদিকে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় যত্রতত্র এসব বর্জ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। প্রকৃতির এই অপার সম্ভাবনাময় স্থানটি যেন দখল করে নিচ্ছে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য। তবে পরিবেশবিদরা বলেছেন, প্লাস্টিক-পলিথিনের বর্জ্যে শুধু সৈকতের পরিবেশই নষ্ট হচ্ছে না। একই সঙ্গে জীববৈচিত্র্যও হুমকির মুখে পড়বে। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রজাতির শামুক, ঝিনুক, কাঁকড়া ও কচ্ছপের বংশ বিস্তার এবং প্রজনন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। স্থানীয়রা জানান, বিশেষ করে পদ্মা সেতু চালুর পরে যোগাযোগ অতি সহজ হওয়ায় ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকের ঢল নামে। অসচেতন পর্যটকরা কোমল পানির বোতলের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবারের খালি প্যাকেটসহ পলিথিন সৈকতেই ফেলে দেয়। এ ছাড়া ভ্যানে করে বিক্রি করা বিভিন্ন খাবার সামগ্রী বিক্রেতারাও পলিথিন, কাগজ সৈকতে ফেলে রাখছে। এসব নিয়মিত পরিষ্কার না করায় পর্যটকরা হাঁটাচলা করতে অস্বস্তিবোধ করছেন বলে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান। ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াক প্রসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, সৈকত পরিষ্কার রাখার জন্য প্রায় ১০-১২টি পেশার ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের মাধ্যমে ট্রেনিং করেছি। টোয়াকের উদ্যোগে প্রায় ২০০ ময়লা রাখার ডাস্টবিন বিভিন্ন পয়েন্টে দিয়েছেন। টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, সৈকতে ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য বারবার মাইকিং করে সতর্ক করছেন। এ ছাড়া সপ্তাহে একবার তারা নিজ উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাচ্ছেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার জানান, সৈকত পরিষ্কার করার জন্য পৌরসভা সার্বিকভাবে কাজ করছে। কয়েকটি টিম সকাল বিকাল ময়লা পরিষ্কার করছে। অসচেতন কতিপয় পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের কারণে এই সমস্যাটা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর