রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভরা শীতে গাছে গাছে কাঁচা-পাকা আম

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ভরা শীতে গাছে গাছে কাঁচা-পাকা আম

ভরা শীতেও দিনাজপুরে গাছে গাছে ঝুলছে কাঁচা-পাকা আম। অসময়েও ওই বাগানে পাকা টসটসে এ ফল দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে। একই গাছের এক ডালে আম, অন্য ডালে আমের গুটি নয়তো মুকুল। এর আকার ও রং মনকাড়া লোভনীয়। বাজারে এখন আমের দামও বেশি। এ ফল দেখে অনেকেই সেলফি তুলছেন, কেউবা কিনে নিয়ে এর স্বাদ গ্রহণ করছেন।

‘কাটিমন’ জাতের বারোমাসি এই আম বাগান করে চমক সৃষ্টির পাশাপাশি ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের ইশানিয়া ইউপির মহবতপুর গ্রামের সুকমল রায়। এ ছাড়াও চাকাপাতা, আলফার নো, মিয়াজাকি, চিয়াংমাই, রেড পানসার, বেনানা ম্যাংগোসহ বিভিন্ন জাতের আম গাছ রয়েছে। ৩০০ টাকা কেজি দরে তা বিক্রি করেছেন। তার জমিতে ৬ শতাধিক গাছে এ জাতের আম ধরেছে।

তিনি জানান, তার বাগানের অধিকাংশ গাছে বছরে তিনবার আম ধরে থাকে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে এই বাগানে পাকা টসটসে আম দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন। এ পর্যন্ত তিনি ২০ থেকে ২৫ মণ আম বিক্রি করেছেন। এখনো গাছে কিছু আম আছে আবার কিছু গাছে মুকুল আসছে। বোচাগঞ্জ কৃষি অফিস জানায়, কাটিমন জাতের আমের চারা রোপণের দুই বছরেই ফলন পাওয়া যায়। এসব গাছে বছরে তিনবার আম ধরে। গাছে কখনো মুকুল, কখনো আমের গুটি আর কখনো বড় আম দেখা যায়। নিয়মিত পরিচর্যা, পানি, সার, বালাইনাশকসহ সার্বক্ষণিক যত্ন্ন নিতে হয় গাছের। প্রতিটি থোকায় ১৫-২০টি আম হয়। প্রতিটি আমের ওজন প্রায় ৩০০ গ্রাম। এ জাতের আমে আঁশ খুব কম। খেতেও সুস্বাদু। বারোমাসি হওয়ায় পুরো বছরই আম বিক্রি করা যায়। আবার অসময়ে আম বাজারজাত করায় দামও বেশি পাওয়া যায়। এ আম চাষে কৃষি বিভাগ সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকে।

সর্বশেষ খবর