কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ বাজার। পাঁচ উপজেলার কেন্দ্রে অবস্থিত বাজারটির সড়ক যেন ডোবা। বাজারের আবর্জনা ফেলা হয়ে মহাসড়কের পাশে ও কালাডুমুর নদে। রয়েছে শৌচাগার সংকট। চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। বাজারের সড়ক সংস্কার, ড্রেন নির্মাণ ও আবর্জনা ফেলার সুনির্দিষ্ট স্থানের দাবি জানিয়েছেন তারা। ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানান, ইলিয়টগঞ্জ বাজার শত বছর আগের। সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার এখানে হাট বসে। এর অবস্থান দাউদকান্দি উপজেলার পূর্ব প্রান্তে হলেও পাশের চান্দিনা, কচুয়া, মুরাদনগর ও দেবিদ্বারের মানুষ এখানে ভিড় করেন। বাজারের কলাপট্টি থেকে পানপাট্টি সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। সড়ক থেকে পানি নামার কোনো ব্যবস্থা নেই। সারা বছর সড়কটি ডুবে থাকে। ফলে কলা ও পানপাট্টির দোকানগুলোতে ক্রেতা তেমন যেতে চান না। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। বাজারের স্কুল এলাকায়ও সড়কের বেহাল অবস্থা। সব আবর্জনা ফেলা হচ্ছে বাজার লাগোয়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ও কালাডুমুর নদে। এতে মহাসড়ক ও বাজারের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। প্রবাহ কমছে নদের। ক্রেতা শিক্ষক মতিন সৈকত বলেন, ইলিয়টগঞ্জ বাজার স্থানীয়ভাবে আইল্লারগঞ্জ বাজার নামে পরিচিত। এটি জেলাজুড়ে গরুর হাটের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। মুদি মালের পাইকারি আড়তও ছিল এখানে। বাজারের সেই ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। এখানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। দ্রুত সড়ক সংস্কার প্রয়োজন। এ ছাড়া বাজারের আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে।
ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন ও নাজিম উদ্দিন বলেন, বাজারের ইজারা হয় কোটি টাকার বেশি। তবু এখানে ১০ টাকার উন্নয়ন কাজও হয় না। রাস্তায় পানি জমে যায়। কাদার কারণে ক্রেতা আসতে চান না। রিকশাচালক লিটন দাস বলেন, আমরা গাড়ি চালাতে সমস্যায় পড়ি। গাড়ি গর্তে পড়ে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ভেঙে যায়। বাজারের রাস্তাটা দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার বলেন, ইলিয়টগঞ্জ বাজারের সড়ক ও ড্রেনেজ সমস্যার বিষয়টি শুনেছি। এগুলো সংস্কার করতে পারে ইউনিয়ন পরিষদ। উপজেলা থেকে টিআর কাবিখা দিয়ে কাজ হতে পারে। এখন অর্থ বছর শেষদিকে। যেকোনো প্রকল্প থেকে আগামী অর্থ বছরে সমস্যা সমাধান করা হবে।