সংস্কারের অভাবে পাবনার ঈশ্বরদীর আলহাজ মোড় থেকে নতুনহাট গ্রিনসিটি পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়ক মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ইট-সুরকি উঠে খানাখন্দ আর বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে পানি জমে যায়। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত রুশ নাগরিকসহ হাজার হাজার মানুষ ও যানচালকদের।
জানা গেছে, সড়ক ও জনপথের (সওজ) আওতাধীন উপজেলার আলহাজ মোড় থেকে রূপপুর মহাসড়কের বিপরীত সড়ক দাশুড়িয়া পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৯ কিলোমিটার সড়কের ভঙ্গুর অবস্থা। তবে একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে নতুনহাট গ্রিনসিটি পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়ক। সড়কটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, প্রাণ কারখানাসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মরতদের চলাচলের একমাত্র সড়ক। এ ছাড়া ঈশ্বরদী বাজার, রেলওয়ে জংশন স্টেশন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আশপাশের কলকারখানায় কর্মরতরা এ সড়ক ব্যবহার করেন। বিকল্প পথ না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।
স্থানীয়রা বলছেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ সড়কে চরম ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। জোড়াতালি দিয়ে মাঝে মাঝে কিছু সংস্কার হলেও তা স্থায়ী হয়নি। সড়কে সৃষ্ট খানাখন্দ আর বড় গর্তগুলোয় বৃষ্টির পানি জমে তা ডোবায় পরিণত হয়। বোঝায় উপায় থাকে না কোথায় ভাঙা আর কোথায় ভালো। এতে যান চালকরা পড়ছেন বিড়ম্বনায়। এসব কারণে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
সড়কটি ২০২০-২১ অর্থবছরে সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয়েছিল। ভারী যানবহন চলাচল করায় মাত্র ৩ বছরে মহাসড়কটিতে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা ও লাভেলো আইসক্রিমের ডিএসআর সাগর হোসেন বলেন, গ্রিনসিটি থেকে বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে যেতে এ সড়ক ব্যবহার করতে হয় আমাদের। সড়কটির অবস্থা এতটাই খারাপ যে ডেলিভারি ভ্যান নিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য। তবুও এ সড়কে চলতে হচ্ছে।
স্থানীয় অটোচালক আসিফ হোসেন বলেন, এ রাস্তা দিয়ে যেতে প্রতিদিন গাড়ির কোনো না কোনো ক্ষতি হবেই।
?পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) সাদেকুর রহমান জানান, সড়কটির টেন্ডার সম্পন্ন হওয়ার পর এরই মধ্যেই ওয়ার্ক অর্ডার প্রদান করা হয়েছে। সম্প্রতি বিরূপ আবহাওয়ার কারণে কাজ শুরু করা যায়নি। দ্রুতই কার্যক্রম শুরু হবে।