বগুড়ায় চলন্ত বাসে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। চালককে আটকও করা হয়। পুলিশ হেফাজতে আসার পর ওই ছাত্রী পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে। এনিয়ে জনমনে এখন নানা প্রশ্ন। টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে অভিযুক্ত বাসচালক সোয়াইব হাসান ওরফে সাকিবকে সোমবার রাতে আটক করে হাইওয়ে পুলিশ। পরে তাকে বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী ছাত্রী ও অভিযুক্ত চালক বর্তমানে থানা হেফাজতে আছে। ছাত্রীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, সোমবার সকালে সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় থেকে ঢাকা-বগুড়া রুটের ওই বাসে ওঠে স্কুলছাত্রী ও তার এক বন্ধু। দুপুরে বাসটি বগুড়ার বনানী এলাকায় পৌঁছালে অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এরপর চালক ও তার সহকারীরা মেয়েটির বন্ধুকে ভয় দেখিয়ে নামিয়ে দেন। চলন্ত বাসে মেয়েটির সঙ্গে চালক অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করেন। পরে মেয়েটিকে ঠনঠনিয়া টার্মিনালে আনা হয়। সেখানে কাউন্টার কর্তৃপক্ষের মধ্যস্থতায় গোপনে মীমাংসা হয় বিষয়টি। মেয়েটিকে ঢাকাগামী অন্য একটি বাসে সিরাজগঞ্জ পাঠানো হয়। এ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ চালক সোয়াইব হাসানকে আটক করে।
এরপরই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। পুলিশের হেফাজতে আসার পর ওই কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে। ধর্ষণের অভিযোগ তোলা কিশোরী কেন মোটরশ্রমিক নেতাদের মাধ্যমে পুলিশের কাছে এল, পুলিশ হেফাজতে কেন অভিযোগ অস্বীকার করল এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।