নোয়াখালীর বিচ্ছিন্নদ্বীপ হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল্ল্যাহ (সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী) সমর্থিত নেতা কর্মীরা নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের (নৌকা মার্কা) চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মেহেরাজের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। এ সময় ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় নৌকার প্রার্থী মেহেরাজকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশের এ এসপির সার্কেল নব যোতি ক্ষিসার নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থিদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্প্রতিবার সন্ধ্যায় মো. মেহেরাজের নৌকা মার্কার প্রচারকালে নিঝুমদ্বীপের নামার বাজারে মোহাম্মদ আলী সমর্থিত (স্বতন্ত্র) বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল ইসলামের কর্মীরা রিকশা ভাংচুর ও মাইক ছিনতাই করে। এ সময় নৌকা সমর্থিতরা ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে রাত ৯টা থেকে ১০টায় সাইফুল ইসলাম সমর্থিতরা মিরাজ চেয়ারম্যানের আবাসিক হোটেল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অফিস ও বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। তখন মেহেরাজের কর্মীরা মসজিদের মাইকে এলাকায় ডাকাত প্রবেশ করেছে বলে প্রচার করে। এতে ক্ষোভে সাইফুল সমর্থিতরা গুলি চালায়। রাতভর চলে ২ পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া। এতে এলাকাবাসী ও বিভিন্ন এলাকাবাসী থেকে আসা পর্যটকদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর শুক্রবার সকাল থেকে আবার স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল সমর্থিত কর্মীরা প্রকাশ্য অস্ত্র নিয়ে মোহড়া দেয় এবং মেহেরাজকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে শুরু হয় ২ পক্ষের সমর্থকদের ফের ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এ সময় নিঝুমদ্বীপ পুলিশ তদন্ত ইনচার্জ আবু ইউসুফ, কনস্টেবল খায়ের, হেলাল ও মহিলাসহ ২০ আহত হয়। আহতদের মধ্যে মতিয়া বেগম,সুরাইয়া বেগম ,সামছুর নাহারকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নোয়াখালী জেলা পুলিশের সদর সার্কেলের (এএসপি) নব যোতি ক্ষিসা ঘটনাস্থলে যায় এবং সত্যতা স্বীকাার করে বলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেহরাজ ও বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল্ল্যাহ সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৪ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব