মানিকগঞ্জে এবার গাজরের বাম্পার ফলন হয়েছে। একদিকে বাম্পার ফলন, অপর দিকে ভাল মূল্য পাওয়ায় গাজর চাষীরা রয়েছেন ফুরফরে মেজাজে। ঢাকাসহ দেশের সর্বত্রই মানিকগঞ্জের গাজরের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। দেশের গন্ডি পেরিয়ে এ গাজর এখন বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। জেলার সিংগাইর উপজেলায় গাজরের চাষ হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টব, কিটিংচর, খড়ারচর, ভাকুম, দুর্গাপুর ও আজিমপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের শত শত কৃষক গাজর চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। লাভজনক হওয়ায় নিজেদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনে গাজর চাষের দিকে ঝুঁকছে এই অঞ্চলের অন্যান্য কৃষকরা।
গাজর চাষী মো. হারুন অর রশিদ বলেন, এবার পঁচিশ বিঘা জমিতে গাজর চাষ করেছেন। হিমাগারের অভাবে প্রতি মৌসুমে সস্তা দামে এইসব গাজর বিক্রি করতে বাধ্য হন। গাজর রাখার জন্য মানিকগঞ্জের সিংগাইরে একটি মাত্র হিমাগার। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তাই তিনি ফতুল্লা, গেন্ডা, জিরানীসহ বিভিন্ন স্থানের হিমাগারে গাজর রেখে বিক্রি করেছেন। কিন্তু এতে পরিবহন খরচ পড়ে যায় বেশি। তাছাড়া বীজের দাম অনেক বেশি। এক কেজি বীজের দাম বার হাজার টাকা। যা মাত্র একবিঘা জমিতে বপন করা যায়। সরকার যদি বীজের দাম কমাতো তাহলে আরো অনেক কৃষক গাজর চাষ করতো। মানিকগঞ্জে আরো হিমাগার নির্মাণ করা হলে এখানকার কৃষকরা লাভবান হতো। মাত্র ২ মাস গাজর সংরক্ষণ করা গেলেই প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হয়।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে এই অঞ্চলে এবার ৪২ হাজার মেট্রিক টন গাজর উৎপাদন হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আলীমুজ্জামান মিয়া বলেন, পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এবার গাজরের ফলন ভাল হয়েছে। এছাড়া সময় মত সার, বীজ, কীটনাশক পাওয়ায় কৃষকদের কোন ভোগান্তি হয়নি। এ জেলার গাজর সুস্বাদু হওয়ায় দেশব্যাপী চাহিদা অনেক। মানিকগঞ্জের গাজর দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বীজের মূল্য সর্ম্পকে তিনি বলেন, এদেশে এখনো গাজরের বীজ উৎপন্ন হয় না, তাই দাম বেশি। এদেশে বীজ উৎপন্ন হলেই দাম কমে যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ