ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের এক পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে ওমানের মিজুয়া থেকে প্রাইভেটকার যোগে মাসকেটের সালালাহ যাওয়ার পথে প্রাইভেট কার ও ট্রলির মুখোমুখি সংর্ঘষে তারা নিহত হন বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারে চলছে এখন শোকের মাতম। ধার-দেনা করে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে গিয়ে উল্টো এখন বোঝা হয়ে গেল পরিবারটির।
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, চার বছর আগে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ গ্রামের হতদরিদ্র সাহাব উদ্দীন খলিফা ধার-দেনা করে বড় ছেলে মাসুদ আলমকে চাকুরী করার জন্য ওমানে পাঠায়। এর মাঝে একবার দেশে এসে মাসুদ আলম কয়েক মাস পরিবারের সাথে কাটিয়ে পুনরায় বিদেশে চলে যায়। গত বছরের আগস্ট মাসে ছোট ভাই জুয়েলকেও নিজের কাছে নিয়ে যায় মাসুদ। এর দুই মাস পর মামা জসিম উদ্দিনকেও ওমানে নিয়ে তিনজনে মিলে প্রাইভেট কারের চালক হিসেবে কাজ করতেন।
তাদের ইচ্ছা ও স্বপ্ন ছিল একটাই, পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা। সুখে শান্তিতে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন কাটানো। মা-বাবা ভাই বোনসহ সবার মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা আর হলো না। সড়ক দুর্ঘটনায় তরতাজা তিনটি প্রাণ অকালে ঝরে যাওয়ায় তাদের সে স্বপ্ন আর পূরণ হলো না।
দুর্ঘটনার খবর শুনে পরিবারের লোকজন এখন পাগলপ্রায়। দুই সহোদর ভাইয়ের বৃদ্ধ বাবা শাহাবউদ্দিন ও মা শাহেদা বেগমসহ পরিবারের লোকজন খবর শোনার পর থেকেই আহাজারি করছেন। একই অবস্থায় জসিমের পরিবারেও। কে ধরবে পরিবারের হাল, এ কথা বলে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন স্বজনরা। দ্রুত লাশগুলো ফিরিয়ে আনাসহ সরকারি সহযোগিতার দাবী জানিয়েছেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/১২ এপ্রিল, ২০১৭/ফারজানা