ময়মনসিংহের ভালুকায় পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিং ও লো ভোল্টেজের শিকার হয়ে চরম দুর্ভোগের পড়েছেন ছোট-বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান, স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও সাধারণ গ্রাহকরা। দিন-রাত অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় অব্যাহতভাবে উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। এমনকি লো ভোল্টেজের কারণে টিভি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স জীনিসপত্রের প্রায়ই ত্রুটি দেখা দিচ্ছে। এতে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মাঝে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি পিডিবি কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের কোনরকম না জানিয়েই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে রাখছেন। মঙ্গলবার রাত ২ টায় বিদ্যুৎ চলে যায়, আসে রাত চারটায়, এক ঘন্টা থাকার পর আবারো চলে যায়। সেই বিদ্যুৎ আসে সকাল ৯টায়। কোনরকম ঘোষণা ছাড়াই প্রায়ই এরকম ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখায় প্রচন্ড গরমে ছোট ছোট শিশু ও বৃদ্ধসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে রাত পার করতে হচ্ছে।
অপরদিকে পল্লী বিদ্যুতের বিদ্যুৎ সরবরাহ একই অবস্থা। শহর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ যতটা খারাপ তার চেয়ে করুন অবস্থা গ্রামাঞ্চলে। গ্রামে অব্যাহতভাবে সরবরাহ বন্ধ রাখা হয় বলে বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকদের অভিযোগ রয়েছে। পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের সারা ভালুকাতেই বিপুল সংখ্যক অবৈধ সংযোগ থাকায় লোডশেডিং দিয়ে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এসব অবৈধ সংযোগের সমম্বয় করছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।
ভালুকা পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সানোয়ার হোসেন জানান, ভালুকায় পিডিবির চাহিদা রয়েছে ১১ মেগাওয়াট এবং বরাদ্ধও তাই। তবে লাইনের বিভিন্ন ক্রুটির জন্য মাঝে মধ্যে লাইন বন্ধ রেখে কাজ করতে হয়। এতে গ্রাহকদের সামান্য সমস্যা হতে পারে। আর লো ভোল্টেজ হওয়ার কারণ জাতীয় গ্রিডে ভোল্টেজের সমস্যা। গ্যাস সল্পতার কারণে, জাতীয়ভাবে সমাধান হলেই ভালুকায় ঠিক হয়ে যাবে।
ভালুকা পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো: জহিরুল ইসলাম জানান, ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ (ভালুকা) এর আওয়ায় (ভালুকা, গফরগাঁও, ত্রিশাল ও শ্রীপুর) বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৮০ মেগাওয়াট এবং বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে ১৩০ মেগাওয়াট। প্রায় দিনই ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/৯ আগস্ট ২০১৭/হিমেল