নাটোরের বড়াইগ্রামের ওমেদ আলী হত্যার দায়ে নিজাম উদ্দিন (৪৫) নামে একজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. হাসানুজ্জামান। একই সাথে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় মামলার অপর ২১ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ এই রায় ঘোষণা করেন বিচারক মো. হাসানুজ্জামান। দন্ডপ্রাপ্ত নিজাম উদ্দিন বড়াইগ্রাম উপজেলার দৌগাছি গ্রামের হাজি মো. রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। আর নিহত ওমেদ আলী একই গ্রামের মৃত ডুমন আলীর ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৩০ মার্চ একটি জালচুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড়াইগ্রামের দোগাছি গ্রামের নুর মোহম্মদ মন্ডলের সাথে প্রতিবেশী মেহের আলী মন্ডলের বিরোধ বাধে। এ নিয়ে একই বছরের ২ অক্টোবর গ্রাম্য সালিশ ডাকা হয়। ওই গ্রামের জনৈক আব্দুস সামাদের চাতালে সালিশের পূর্বে নুর মোহম্মদ মন্ডলসহ তার সমর্থকরা হামলা চালালে ওমেদ আলী চাইনা গুলিবিদ্ধ সহ আজগর আলী ও জামাত আলী নামে অপর দুই ব্যক্তি তিন জন আহত হয়। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে ওমেদ মারা যান। এ ঘটনার ৪দিন পর ওমেদের ভাই কুমেদ আলী বাদী হয়ে দন্ডপ্রাপ্ত নিজাম উদ্দিনসহ ২২ জনকে আসামি করে বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল হক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন এবং মামলাটির দীর্ঘ শুনানী ও ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আজ দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাসানুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। অন্য ২১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেন বিচারক।
এপিপি খন্দকার আব্দুল হাই একজনের ফাঁসির আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মামলায় রাষ্ট্র পক্ষে তিনি নিজে এবং আসামি পক্ষে আইনজীবি ছিলেন মরহুম অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন ও ব্যারিষ্টার টুটুল।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার