চাচি আলমতাজ বেগমের বাসায় গিয়ে দুষ্টুমি করছিল ৪ বছরের শিশু আল-আমিন। বার বার নিষেধ করার পরও দুষ্টুমি না থামানোয় আল আমিনকে চড় মারলে সে দোতলার সিঁড়ি থেকে নীচে পড়ে আহত হয়। এরপর সে চিৎকার করে কান্না করছিলো। বারবার কান্না থামাতে বললেও শিশুটি চিৎকার দিয় কান্না করেই যাচ্ছিলো।এক পর্যায়ে শিশুটির গলা চেপে ধরেন চাচি আলমজাত। এতে শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সে শিশু আল-আমিনকে দোতলার খাটের নীচে লাকড়ির স্তুপের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এভাবেই শিশু ভাতিজা আল-আমিনকে হত্যার বর্নণা দিয়েছে ঘাতক চাচি আলমতাজ বেগম। আজ বিকেলে শিশু আল-আমিন হত্যার দায় স্বীকার করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আনিছুর রহমানের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আলমতাজ বেগম।
বরিশাল নগরীর কাউনিয়া থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম পিপিএম জানান, শিশু আল-আমিন হত্যার ঘটনায় বুধবার আলমতাজ বেগমকে একমাত্র আসামি করে নিহত শিশুর পিতা সুজন হাওলাদার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার দুপুরে লাশ উদ্ধারের সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক আলমতাজ বেগমকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে সে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
গত সোমবার সকাল ৮টার দিকে নগরীর পলাশপুর গুচ্ছগ্রাম ১ নম্বর গলির বাসা থেকে বাইরে বের হয়ে নিখোঁজ হয় শিশু আল-আমিন। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পায়নি তার পরিবার। পরদিন মঙ্গলবার দুপরে শিশু নিখোঁজের বিষয়ে সুজন তার ভাই সুমনের বাসায় স্বজনদের নিয়ে আলোচনায় বসে। সেখানে ঘরের মেঝেতে রক্তের দাগের উৎস্য খুঁজতে গিয়ে খাটের নীচে লাকড়ির স্তুপের মধ্য থেকে শিশু আল-আমিনের লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয় তার পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে এবং একই সাথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুমনের স্ত্রী আলমতাজকে আটক করে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার