লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মধ্য চর রমনী মোহন এলাকায় আলিফ সেচ প্রকল্প বন্ধ থাকায় ইরি-বোরো ধান চাষাবাদ করতে পারছেন না শতশত কৃষক। এতে করে দার দেনা করে জমি বন্ধক নেওয়া এসব কৃষক বিপাকে পড়েছেন। জনৈক ব্যক্তির মামলা ও আদালতের স্থিতি অবস্থায় চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন চাষীরা। এদিকে কৃষকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হন এ বিষয়ে খুব দ্রুত প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন বিএডিসির কর্মকর্তা।
জানা যায়, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সদর উপজেলার মধ্য চর রমনী এলাকায় স্থানীয়দের উদ্যোগে আলিফ সেচ প্রকল্প এলাকার প্রায় ২০০ একর জমিতে ইরি বোরো ধান চাষাবাদ করে আসছেন শত শত কৃষক। সম্প্রতি ওই প্রকল্পটি বিএডিসি কর্তৃক সরকারিভাবে ভূগর্ভস্থ ভারী পাইপ লাইন নির্মাণের জন্য সিদান্ত নিয়ে কার্যাদেশ জারি করা হয়। এমতাবস্থায় জনৈক খোরশেদ আলম নামের এক ব্যাক্তি তার জমির উপর দিয়ে সেচ প্রকল্প চালু না করতে আদালতের শরনাপন্ন হন। আদালত স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে ওই প্রকল্পটির কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায। এতে করে বর্তমানে ইরি বোরো চাষীরা পড়েছেন বিপাকে। চারা রোপনের শেষ সময়ে এসেও চাষাবাদ না করতে পেরে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন তারা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মাঠ জুড়ে ব্যাপক কৃষক-কৃষানীর অংশগ্রহণে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেন কৃষকরা।
এসময় স্থানীয় ভুক্তভোগী কৃষক নিজাম উদ্দিন, সাহাবুদ্দিন, ইব্রাহীম অভিযোগ করে বলেন, দার দেনা করে কিস্তি নিয়ে একর প্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে জমি বর্গা নিয়ে এখন জমিতে চাষাবাদ করতে না পেরে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হতে হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষক বছির আহমদ, তসলিম, কৃষানী রুবি ও চম্পা বলেন, ইরি বোরো ধান চাষাবাদের আশায় চারা রোপন করতে প্রতি কেজি বীজ ধান ৭০০ টাকা মুল্যে কিনে বীজতলা করে এখন বিপাকে পড়েছেন তাদের মতো অনেকে। এমতাবস্থায় বিস্তীর্ণ জমির মাঠ খালি পড়ে আছে এখন। এতে করে আগামীতে কিভাবে চলবেন কিভাবে সংসার চালাবেন এ নিয়ে চিন্তি রয়েছেন তারা। দ্রুত এ প্রজেক্ট চালু না হলে এখানকার কৃষকদের খাদ্য সঙ্কট দেখা দিবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
লক্ষ্মীপুরের বি এ ডি সি ক্ষুদ্র সেচ বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী কাজী মো: আবুল কালাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কৃষকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হন তা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার