দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে এস.কে রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ১২ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী এবার পরীক্ষা দিতে পারল না। শিক্ষকের গাফিলতি আর অনিয়মের কারণে পরীক্ষা দিতে পারেনি বলে পরীক্ষার্থী শাকিবখানসহ শিক্ষার্থীরা জানায়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পাওয়ায় ১২ জন পরিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেয়া অনিশ্চিত হলে স্কুলে পরীক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে কোন সদুত্তর না দিয়ে উল্টো রাগ দেখালে অন্যরাও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এসময় পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ উত্তেজিত জনতা দুই শিক্ষককে এস.কে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে অবরুদ্ধ করে অফিস ভাঙচুর করে।
পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে এস.কে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিরঞ্জন রায় নিরু এবং তার সহযোগী হিসেবে সিংগানগর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজয় রায়কে উদ্ধার করে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পরীক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থী শাকিব খান জানায়, এসএসসি ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মত চিরিরবন্দর উপজেলার ভুষিবন্দর এস.কে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে ৯ জন ছেলে ও ৩ জন মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী নিয়ে সিঙ্গানগর হাই স্কুল থেকে ফরমপূরন করে পরীক্ষা দেয়ার কথা বলে শিক্ষার্থীরা এস.কে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিরঞ্জন রায় নিরু এর কাছে সব ধরনের ফি জমা দেয়। কিন্তু পরীক্ষার ২দিন আগে আমরা প্রবেশপত্র চাইলে তিনি বলেন- আজ দিব, কাল দিব করে সময়ক্ষেপণ করে। এরপর আজ বৃহস্পতিবার দিতে চাইলে আমরা আসি। এখন তিনি বলেন, এবার তোমাদের রেজিষ্ট্রেশন হয়নি। আগামীতে পরীক্ষা দিবে। এ কথায় সবাই ক্ষিপ্ত হলে স্যারও আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যেতে বলেন।
পরীক্ষা বঞ্চিত মানস চন্দ্র’র বাবা মানিক চন্দ্র জানায়, এসব শিক্ষার্থীদের একটা বছর নষ্টের জন্য ওই শিক্ষকদের দৃষ্টন্তমূলক শাস্তি চাই।
জানা যায়, চিরিরবন্দর উপজেলার ভুষিরবন্দর এস.কে রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাসুদ রানা, মিনহাজুল, আকাশ, মানস, শাকিব খান, নাইম, আবু হোসেন, আনিসুর রহমান, জীবন নামে ৯ জন ছাত্র ও মনিকা রায়, মনিরা আকতার, লাবণ্য রায় নামে ৩ জন ছাত্রী ২০১৮ সালের এস.এসসি পরীক্ষার্থী হিসেবে ফরম পূরনের জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান করে। বিদ্যালয়টির অনুমোদন না থাকায় স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা নিরঞ্জন রায় পাশ্ববর্তী সিংগানগর উচ্চ বিদ্যালয় হতে ফরম পূরন করায়। কিন্তু পরীক্ষার দিন পর্যন্ত তাদের প্রবেশপত্র না পাওয়ায় ১২ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেয়া অনিশ্চিত হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর থানার ওসি হারেসুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিরুঞ্জন রায় নিরু ও সিঙ্গানগর বিদ্যালয়ের শিক্ষক অজয় কুমার রায়কে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। অভিভাবকদের অভিাযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার