নারায়ণগঞ্জের বন্দরের উপজেলার মদনপুরে স্থানীয় ইউপি মেম্বার খলিলুর রহমান ও জাতীয় পার্টির নেতা আমির হোসেন বাহিনীর মধ্যে আবারো সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের সময়ে উভয় পক্ষ দেশী অস্ত্র নিয়ে একে অন্যের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময়ে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ গোলাগুলির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এ নিয়ে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরেই মদনপুরের পরিবহন স্ট্যান্ডের প্রভাব বিস্তার সহ আধিপত্য নিয়ে আমির ও খলিলুরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। ওই বিরোধের জের ধরেই সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে পারভীন আক্তার, নুরুন্নাহার, দেলোয়ার, অপু, আবুল কালাম, মদন মিয়া, খাইরুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম ও রেহেনা বেগমসহ ১০ জন আহত হয়। বাড়ি ঘরে লুটপাট চালানো হয়। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি মসজিদের টাইলসও।
বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মদনপুরে দীর্ঘদিন যাবত দুই গ্রুপের সাথে ঝামেলা চলছে। এরই জের ধরে সোমবার মারামারি হয়েছে। তবে কোন গোলাগুলি হয়নি। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর