বগুড়ার শেরপুরে বাঙালী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল স্বার্থান্বেষী একটি চক্র। দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চালাচ্ছিলেন তারা। এতে নদীর আশপাশের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি ধসে নদীগর্ভে যাওয়ার শঙ্কাও তৈরি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুর এলাকায় বাঙালী নদীতে গড়ে উঠা অবৈধ ওই বালু মহালটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
এসময় বালু খেকোরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত একটি ড্রেজার মেশিন ও একটি শ্যালো মেশিনসহ শতাধিক মিটার প্লাস্টিকের পাইপ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। গত শনিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান পরিচালিত হয়। বালুদস্যুদের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন এই ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এছাড়া জনস্বার্থে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারি আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু করেছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় গত মে মাসে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন, লাইসেন্সবিহীন করাত কল ও পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে গণসচেতনা তৈরির লক্ষ্যে মোট ১৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় ৩৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১ লাখ ১১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক