কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মফিজ আলম (৪০) নামে এক পলাতক আসামি ও মাদক কারবারী নিহত হয়েছেন।
তিনি উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোলাম আকবরের ছেলে।
রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়কের হোয়াইক্যং পচাখালী সেতু সংলগ্ন এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ভাষ্য মতে, নিহত ব্যক্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারী। তিনি মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ মারামারির আটটি মামলার পলাতক আসামি।
ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরি ৪টি অস্ত্র (এলজি), ৯ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১১ রাউন্ড কাতুজের খোসা ও ৩ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অহিদ উল্লাহ, কনেস্টবল মনির হোসেন ও রুবেল মিয়াসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, রবিবার রাত দেড়টার দিকে টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়কের হোয়াইক্যং পচাখালী সেতু সংলগ্ন এলাকায় কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ী ইয়াবা বেচা-কেনা করছিলেন। সেই সূত্র ধরে থানা পুলিশের একটি দল অভিয়ানে যায়। ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এতে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অহিদ উল্লাহ, কনেস্টবল মনির হোসেন ও রুবেল মিয়া আহত হলে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এসময় উভয়পক্ষের গোলাগুলিতে মফিজ গুলিবিদ্ধ হন।
পরে আহতদের উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মফিজকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার পাঠান। পুলিশ সদস্যদেরকে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শোভন দাস বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মফিজসহ তিনজন পুলিশকে হাসপাতালে আনা হয়। মফিজের শরীরের তিনটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হলেও পুলিশের তিন সদস্যকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওসি বলেন, কক্সবাজার নেওয়ার সময় পথিমধ্যে মফিজ মারা যান। নিহত ইয়াবা কারবারির মফিজের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
বিডি প্রতিদিন/কালাম