লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের মেঘনা নদীতে ৭টি নৌকা নিয়ে প্রতিদিন মাছ ধরতে যান সাহাবুদ্দিন মাঝি। আশা ইলিশের মৌসুমে জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে। পরিবারের সকলকে ঈদের নতুন জামা কিনে দেবেন। কিন্তু জালে কোনো ইলিশ ধরা না পড়ায় ঈদের আনন্দ ফিকে হয়ে গেছে তার পরিবারের। তাই খরচের টাকা না উঠায় মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকাগুলো নদীর তীরে বেঁধে রেখেছেন। এভাবে উপজেলার প্রায় সাড়ে ৭ হাজার জেলে পরিবারের মধ্যে নেই ঈদের কোনো আনন্দ। পুরো জেলে পল্লীতে কেবলই হতাশা।
ইলিশের মৌসুম শুরু হলেও এখনো মেঘনা নদীতে দেখা মিলছে না রূপালী ইলিশের। এতে অভাব-অনটন আর চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন জেলে পরিবারগুলো। ইলিশ মাছ না পাওয়ায় তাদের মধ্যে ঈদের কোনো আনন্দ নেই। মাছ ধরা না পড়ায় লোকসান গুণছেন আড়ৎদার ও পাইকাররা। অনেক জেলেই এনজিও ও দাদনের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
রায়পুরের জেলেদের আশা ছিল এবারের রমজানে প্রচুর বৃষ্টি হবে। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে তাদের জালে। সে ইলিশ বিক্রি করে পরিবারের সবার জন্য নতুন পোশাক কিনবে। সবার মুখে হাসি ফোটাবে। সবার সাথে ভাগ করে নেবে ঈদের আনন্দ।
কিন্তু চিত্রটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ। তাই সাড়ে ৭ হাজার জেলে পরিবারে এবার নেই কোনো ঈদের আনন্দ। উপজেলার উপকূলের প্রায় ৩২টি মাছ ঘাটে নোঙ্গর দেওয়া জেলেদের নৌকা ও ইঞ্জিন চালিত ট্রলার অপেক্ষা করছে। মাঝে মধ্যে দু’এক ঝুঁড়ি মাছ আসলেও আগের মতো ঘাটে নেই জেলে ও ক্রেতাদের হাঁক-ডাক। অলস সময় পাড় করছেন জেলে, আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, জেলেদের হতাশ হবার কিছু নেই। এবার বৃষ্টি কম থাকায় নদীতে তেমন মাছ পড়ছে না। বৃষ্টি শুরু হলে আশা করছি প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে। জেলে পরিবারের মুখে ফুটে উঠবে হাসি।
বিডি প্রতিদিন/কালাম