সরকারের সহায়তায় পাহাড় এখন অনেক উন্নত বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন, পাবর্ত্যাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের জন্য সরকার নানা প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। রাঙামাটির দুর্গম অঞ্চলগুলোতে বিদ্যুতের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পার্বত্যাঞ্চলের ২৬টি উপজেলা এখন বিদ্যুতের আওতায় রয়েছে। আর যেসব এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছানো হয়নি, সেসব এলাকায় সৌরশক্তি ব্যবহার করে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোতে সোলার চালিত মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম চালু করা হচ্ছে।
সোমবার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভা কক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এর সহায়তায় রাঙামাটির বিদ্যুৎবিহীন এলাকায় শিক্ষা উন্নয়নে সোলার চালিত এলইডি লাইট ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম সরঞ্জাম বিতরণ অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে এতে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদে, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, কাউখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার আরও বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের জন্য সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ আছে, যারা পাহাড়ের উন্নয়ন চায় না। যারা সব সময় বিভিন্ন সময় পাহাড়ে সহিংসতার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। তিনি বলেন, যেখানে সম্প্রীতি থাকবে না। সেখানে উন্নয়ন সম্ভব না। আর উন্নয়ন না হলে দেশে এগিয়ে যাবে না। তাই তিনি সকল জাতিগোষ্ঠীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা পরিত্যাগ করে, হানাহানি ভুলে সরকারের উন্নয়নে সহযোগিতা করার আহবান জানান।
পরে রাঙামাটির ৯টি উপজেলার বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম চালু করার লক্ষ্যে সোলার প্যানেল ও এলইডি টিভি বিতরণ করা হয়। এছাড়া সুবিধা বঞ্চিত ৭০২ জন শিক্ষার্থীকে সোলার চালিত এলইডি লাইট দেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা