বাংলাদেশের নারী ফুটলের অহংকার পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির কৃতি সন্তান ফিফা র্যাংকিং এ সেরা গোলদাতাদের মধ্যে ৫ম স্থান অধিকারী মনিকা চাকমা এবং জমজ দুই কৃতি ফুটবলার আনাই মগিনী ও আনুচিং মগিনীকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টায় খাগড়াছড়ি অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে সংবর্ধনার আয়োজন করে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও খাগড়াছড়ির জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
এর আগে কৃতি এই ফুটবলারদেরকে সুসজ্জিত গাড়িতে করে শহর প্রদক্ষিণ করানো হয় এবং ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব কবীর বিন আনোয়ার।
আরও বক্তব্য রাখেন কৃতি ফুটবলার মনিকা চাকমা, সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক, জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকন উদ দৌলা প্রমুখ।
ডিজিএফআই খাগড়াছড়ি কমান্ডার কর্নেল নাজিম উদ্দিন, খাগড়াছড়ি পৌরসভা মেয়র রফিকুল আলম, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শানে আলম, সেনাবাহিনী খাগড়াছড়ি রিজিয়ন জিটুআই সালাহ উদ্দিন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য জুয়েল চাকমাসহ খাগড়াছড়ি জেলার ক্রীড়া সংগঠক ক্লাব প্রতিনিধি, বিশিষ্ট নাগরিক, খেলোয়াড় ও বিভিন্ন দফতরে ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
পানি সম্পদ মন্ত্রাণালয়ে সচিব কবির বিন আনোয়ার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ একটি প্রাচুর্য্যময় দেশ। পাহাড়ের বিপুল সম্পদ রয়েছে। এ সম্পদ কাজে লাগাতে হবে। মনিকা চাকমা, আনাই মগিনী ও আনুচিং মগিনী দেশের সম্পদ। তারা পাহাড়ের পথ প্রদর্শক। পাহাড়ের খেলোয়াড় সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন খেলার ক্যাম্প আয়োজন করতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলতে পারবে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, খাগড়াছড়ির কৃতি দুই নারী ফুটবলার
দেশ সেরা আনাই ও আনুচিং-ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে।
সেই সঙ্গে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে গোল করে ফিফা’র ম্যাজিকেল গোলদাতার সেরা দশের পঞ্চম স্থান অর্জনকারী মনিকা চাকমাকে তার গ্রামে পাহাড়ী আদিম ঐতিহ্যময় ঘর নির্মাণ করে দেয়াসহ এককালীন বৃত্তি প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে খেলায় মনিকা চাকমার দেয়াও গোলটি ফিফা‘র বছরের সেরা গোলগুলোর মধ্যে পঞ্চম হয়। ফিফা তাকে ‘ম্যাজিকেল চাকমা’ নামে উপাধি দেয়।
এছাড়া জমজ দুইবোন আনাই ও আনুচিং বয়সভিত্তিক আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফুটবল টুর্নামেন্টে নিয়মিত ভালো করছে। তিনজনই বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা আন্তঃস্কুল ফুটবল থেকে উঠে আসা সম্ভাবনাময় ফুটবলার।
বিডি প্রতিদিন/কালাম