নেত্রকোনা শহরের খান মিষ্টান্ন ভান্ডারের মিষ্টি খেয়ে দূর্গাপুর উপজেলার একই পরিবারের ১৪ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর ১০ জনকে দূর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সরকারী ফারজানা নাসরীন জানান, ঈদে বাড়িতে আসা তার দেবর মীর্জা শিমুল রাজশাহীর এসিল্যন্ডসহ পরিবারের সকলেই এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঈদের আনন্দ আর নেই তাদের কপালে। রবিবার সকাল থেকে তারা অসুস্থ হয়ে একে একে ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। বাকি চারজন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
তিনি আরো জানান, তার নদন রাবেয়া আক্তার একজন ইপিআই স্টোর কিপার। তিনি গত শনিবার সন্ধ্যায় দূর্গাপুর কাকৈরগড়া ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামের বাবার বাড়ি মীর্জা বাড়িতে যান। যাওয়ার সময় নেত্রকোনা খান মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে কয়েক প্যাকেট বালিশ মিষ্টি নিয়ে যান। এরপর রাতে সবাই কম বেশি বালিশ মিষ্টি খেয়েছন। পরে সেহরির পর থেকে এক এক করে বমি করতে থাকেন। সেই সাথে শুরু হয় পেটে ব্যাথা। এরপর শুরু হয় পাতলা পায়খানা। এভাবে আস্তে আস্তে ১৪ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে চারজন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গেলেও ১০ জন হাসপাতালেই রয়ে গেছেন। তাদের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে ভুক্তভোগীরাসহ স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের তদারকি নেই মিষ্টির দোকানগুলোতে। যে কারণে তারা যা খুশি তাই করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
দূর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এ এস এম তানজিরুল ইসলাম বলেন, ফুড পয়জনের শিকার হয়েই বর্তমানে একই পরিবারের ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল