বগুড়ার শিবগঞ্জে রওশন আরাকে (৫০) বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ভিন্নখাতে দোষ চাপাতে গিয়ে ফেঁসে গেল স্বামী শাহ আলম (৫৫)। ২৫ আগস্ট রাতে খুন করার পর সে পুলিশকে প্রথমে জানায় কে বা কারা তার স্ত্রী রওশনকে হত্যা করে ১ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। পরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, সময় মতো ভাত না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী রওশন আরাকে বটির আঘাতে খুন করে।
জানা যায়, বগুড়ার শিবগঞ্জের রায়নগর ইউনিয়নের অনন্তবালার আকন্দপাড়া গ্রামের কৃষক শাহ আলম ওরফে চাঁন মিয়ার স্ত্রী রওশন আরা। তাদের সংসারে একমাত্র ছেলে ছাব্বির হোসেন প্রবাসে এবং মেয়ে শম্পার বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে থাকেন। মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর বাড়িতে শাহ আলম ও তার স্ত্রী নিহত রওশন আরা থাকতেন। ঘটনার দিন চিৎকার শুনে এলাকাবাসী রওশন আরা'র লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এসময় নিহতের স্বামী চাঁন মিয়া পুলিশকে কৌশল করে বলেন, ঘরে থাকা বাক্সে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ও একটি স্বর্ণের চেইন কে বা কারা নিয়ে গেছে। কথার সাথে ঘটনার মিল না থাকায় পুলিশ প্রথমে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে জ্ঞিাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশকে সে জবানবন্দি প্রদান করে। সেখানে সে বলে তাকে ভাত দিতে দেরি করায় সে রাগের মাথায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার অফিসাার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী চাঁন মিয়া নিজেই তার স্ত্রী রওশন আরাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে জবাই করে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তিনি আরো জানান, নিহতের লাশের পাশ থেকে একটি ধারালো বটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় ২৬ আগস্ট নিহতের বোনের স্বামী আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার