কুমিল্লায় সুইসাইড নোট লিখে রেখে আত্মহত্যা করেছেন আহম্মদ উল্লাহ নামে এক কলেজছাত্র। সে জেলার বুড়িচং উপজেলার পারুয়ারা আব্দুল মতিন খসরু কলেজের দ্বাদশ বিজ্ঞান শ্রেণির ছাত্র ছিল।
বুধবার বুড়িচংয়ের আবিদপুর গ্রামে মামার বাড়িতে বাথরুমে গলায় গামছা লাগিয়ে ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
আত্মহত্যার আগে আহম্মদ উল্লাহ একই কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষককে দায়ী করে সুইসাইড নোট রেখে যায়।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলার দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে বুড়িচং পারুয়ারা আব্দুল মতিন খসরু কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আহম্মদ উল্লাহ। যাতায়াত দূরত্বের কারণে কিছুদিন ধরে তার মামা আবুল হোসেনের বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের আবিদপুর গ্রামে বসবাস করে আসছিল।
এদিকে বুধবার সকাল ৮ টায় গোসল করতে গিয়ে আহম্মদ উল্লাহ বাথরুমের ভেন্টিলেটরের সাথে গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। দীর্ঘ সময় সে বের হয়ে না আসায় ভেন্টিলেটর দিয়ে লাশ ঝুলে থাকতে দেখে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুড়িচং থানাধীন দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশ এসআই কামাল হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের সময় লুঙ্গিতে পেঁচানো অবস্থায় থাকা একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে, এতে লেখা ছিল ‘আমার মৃত্যুর জন্য পারুয়ারা আব্দুল মতিন খসরু কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক সরণ স্যার দায়ী।’
এ বিষয়ে পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক আবুল হোসেন সরণ বলেন, ‘পদার্থ বিজ্ঞানের ৬০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ক্লাস শুরু হয়েছে এক মাস। তার সাথে আমার এখনও পরিচয় হয়নি। আমি কাউকে মারধর বা অপমানও করিনি। সে কেন আমাকে দায়ী করলে জানি না।’
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন