বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- বাংলাদেশকে ১৪৪ রানের লক্ষ্য দিল আফগানিস্তান
- উড়ালসেতু নয়, মেধা-প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড : রিজভী
- ডিসি লেকে প্রাচীর নির্মাণ বন্ধের দাবিতে শিশুদের প্রতিবাদী চিত্রাঙ্কন
- বগুড়ায় বজ্রপাতে নারীর মৃত্যু
- তরুণকে পাঁচদিন আটকে রেখে চাঁদা দাবি, কুষ্টিয়ায় দুইজন গ্রেপ্তার
- নেত্রকোনায় স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি, টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ
- মাদারীপুরে আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস পালিত
- নীলফামারীতে ঝড়ে তছনছ ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি, আহত ৫০
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু
- বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মানববন্ধন
- রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার
- মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস পালিত
- নির্বাচনে ইসিকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ : গোয়েন লুইস
- বিপৎসীমার কাছাকাছি তিস্তার পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
- খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত
- শ্রীমঙ্গলে ১২ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার
- বাংলাদেশি শিল্পীর ক্যালিগ্রাফি স্থান পেল কুয়েতের গ্র্যান্ড মসজিদে
- ইতিহাস গড়ল বিটকয়েন
- মানিকগঞ্জে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি, আহত ১
- তফসিলের আগেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে পদযাত্রা
ঝিনাইগাতীতে ১০ বছর ধরে স্কুল মাঠে গরুর হাট!
শেরপুর প্রতিনিধি:
অনলাইন ভার্সন
.jpg)
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের চেঙ্গুরিয়া আনছার আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত প্রতি বুধবার করে গরুর হাট বসছে। ফলে ওই দিন নির্ধারিত সময়ের আগেই বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হচ্ছে এবং পাঠদান ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশে বিঘ্ন ঘটছে। সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা বিঘ্নিত হচ্ছে।
এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭০ সালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী প্রয়াত আনছার আলীর প্রচেষ্টায় চেঙ্গুরিয়া আনছার আলী উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কের কালিবাড়ী বাজারসংলগ্ন স্থানে ৫৮ শতাংশ জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত চলমান এ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা যথাক্রমে ১৪ ও ৬১৫ জন। বিদ্যালয়টির ঠিক সামনে সরকারের ২৫ শতাংশ খাস জমি রয়েছে। এ জমিতে দীর্ঘ দিন ধানের বাজার বসত। কিন্তু ২০০৯ সালে উপজেলা প্রশাসন এ জমিটি ধানের বাজারের পরিবর্তে গরুর হাট হিসেবে ইজারা দেন। সেই থেকে প্রতি বুধবার এখানে গরুর হাট বসে আসছে। প্রথম দিকে সমস্যা না হলেও দিন দিন গরুর হাটটি অনেক বড় হয়েছে। জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতা এ হাটে গরু নিয়ে আসেন। সাধারণত বিদ্যালয় ছুটি হয় বিকেল চারটায়। কিন্তু বুধবার দিন হাট শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতাদের চেঁচামেচি আর পশুর ‘হাম্বা’ শব্দে মুখরিত থাকে। ফলে দুপুরেই বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়। এতে শিক্ষকদের পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে হাটের নির্ধারিত জমিতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ক্রেতা বিক্রেতা আর গরুতে বিদ্যালয়ে প্রধান ফটক থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের মূল ভবনের বারান্দা পর্যন্ত দখল হয়ে আছে। বিক্রির জন্য পুরো মাঠ জুড়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে পাঁচশতাধিক গরু। এসব গরুর মল-মূত্র ও বর্জ্য বিদ্যালয় মাঠের বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। বের হচ্ছে দুর্গন্ধ। এ সময় বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে দেখা যায়নি। বিদ্যালয়ের কার্যালয়সহ সকল শ্রেণিকক্ষ ছিল তালাবদ্ধ। বিদ্যালয়ের বারান্দা-সংলগ্নস্থানে চেয়ার-টেবিল পেতে ইজারাদারের লোকজন টোল আদায় করছেন।
বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাসিম, মার্জিয়া আক্তার ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তামান্না সিদ্দিকাসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলে, প্রতি বুধবার দুপুরেই বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। লোকজন বিদ্যালয়ের বারান্দায় বসে ধূমপান করেন। যাতায়াতে সমস্যা হয়। গরুর হাট সপ্তাহে একদিন বসলেও সারা সপ্তাহ জুড়েই দূগন্ধ লেগেই থাকে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজগর আলী বলেন, গরুর হাট এবং বিদ্যালয় মাঠের মধ্যে কোন সীমানা প্রাচীর না থাকায় প্রতি বুধবার হাটের দিন বিপুলসংখ্যক গরু বিদ্যালয় মাঠে রেখে বিক্রি করা হয়। হাটের কারণে ওইদিন নির্ধারিত সময়ের আগেই বিদ্যালয় ছুটি দিতে হয়। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষাসহ পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের স্বার্থে গরুর হাটটি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করবেন বলে জানান।
ইজারাদার মো. কমল উদ্দিন বিদ্যালয় মাঠে গরুর হাট বসানোর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সরকারের নির্ধারিত জমিতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা বিদ্যালয় মাঠে গরু রাখছেন। তবে হাটের পরদিন সকালেই পুরো বিদ্যালয় মাঠ পরিষ্কার করে দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যালয় মাঠ থেকে হাট স্থানান্তরের বিষয়ে কেউ তার কাছে আবেদন করেনি। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে আবেদন পেলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পড়াশুনার পরিবেশ কোন ভাবেই বিঘ্নিত করার সুযোগ নেই।
এই বিভাগের আরও খবর