কোমলমতি শিশুদের স্কুলে খেলার মাঠ যেন এক পুকুর। নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বাহাদুরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুইটি পাকা ভবন থাকলেও মাঠটি পুকুরের ন্যায়। ফলে শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে খেলাধুলা থেকে। তাছাড়া বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী সড়ক থেকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার জন্য কোনো সংযোগ সড়ক না থাকায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাঁদা পেরিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে।
একটি ভবন থেকে অপর একটি ভবনে যাওয়ার পথেও রয়েছে কাঁদা। ফলে শিক্ষক শিক্ষার্থী সকলকেই কাঁদা পেরিয়ে শ্রেণিকক্ষে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই এভাবে চলছে। দেখার কেউ নেই। সংসদ সদস্য বদল হয়, কিন্তু স্কুলটির সামন্য একটি মাঠের অবস্থা বদল হয় না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেলী রানী সাহা জানান, ১৯৭৮ সালে .৫২ শতাংশ জমিতে নির্মিত হয় বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ মোট পাঁচজন শিক্ষক রয়েছে। দুই শিফটে চলে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬৯ জন। খেলার মাঠটিতে মাটি ভরাটের জন্য চলতি বছরের এপ্রিল মাসে স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবর আবেদন করেছি।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, বর্ষাকালে কাঁদা পেরিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে তাদের একেবারেই ভাল লাগে না। স্কুলে এসে খেলতেও পারে না তারা।
অভিভাবকরা জানায়, এই বিদ্যালয়ে খেলার মাঠটি নিচু হওয়ায় বর্ষাকালে পানি জমে থাকায় খেলাধুলা থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া শিশুদের স্কুলে দিতে ভয় লাগে। তাই জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের মাঠটিতে মাটি ভরাটের জন্য সরকারের কাছে আমরা এলাকাবাসী জোর দাবি জানাই।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. নুরুল ইসলামও জানান- সরকারি বরাদ্দের জন্য সংসদ সদস্যের কাছে বিভিন্ন সময়ে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনও আশায় রয়েছেন তারা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বাহাদুরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মাটি ভরাট করতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে দ্রুত বিদ্যালয়ের মাঠটিতে মাটি ভরাটের ব্যবস্থা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম