সদ্য জাতীয়করণকৃত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. মাহবুবুর রহমানকে যোগদানে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কলেজের প্রধান ফটকে অবস্থান নেওয়া কিছু ব্যক্তির ভয়ে তিনি যোগদান করতে পারছেন না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, হাইকোর্ট, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অধ্যক্ষকে স্বপদে বহাল রাখার আদেশটি দিলেও তা মানা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক তদন্তপূর্বক সরকারের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কলেজ অধ্যক্ষ ড. মো. মাহবুবুর রহমান অভিযোগ করেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এক চিঠিতে তাকে যোগদান করার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। কিন্তু তুচ্ছ অজুহাত দেখিয়ে চিঠি ও স্মারক সংশোধনের কথা বলে যোগদান করাচ্ছেন না। আর এই কালক্ষেপণের সুযোগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ মন্ডল নতুন করে সুযোগ নিচ্ছেন। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উচ্চ আদালতে একাধিক রিট করে ফলাফল না পেয়ে বিভিন্নভাবে পায়তারা চালাচ্ছেন। এমনকি কিছু লোক সংগঠিত করে তাদের আর্থিক সুবিধা দিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করাচ্ছেন।
এছাড়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ মন্ডল বহিরাগত কিছু লোক দিয়ে অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানকে প্রতিনিয়ত জীবননাশের হুমকি দিচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেছেন।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২৬ আগষ্ট কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন (জিডি নং-১২৫৪)। ঘটনাটি নিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা রানী সাহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মন্ত্রণালয় থেকে অধ্যক্ষ আবার চিঠি নিয়ে আসলে তাকে যোগদান করিয়ে নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ মন্ডলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অধ্যক্ষকে কোন বাধা দেওয়া হচ্ছে না। তিনি যদি না আসেন তাহলে কিভাবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেব।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল