ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সাউন্ড বক্স বাজানোকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন ৩০ জন। উপজেলার ময়না ইউনিয়নের কান্দাকুল গ্রামে সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ১৭ জনকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কান্দাকুল গ্রামে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হারুন মাস্টার ও ময়না ইউপির ১নং ওয়ার্ড সদস্য আক্তার মেম্বারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। রবিবার আক্তার মেম্বার গ্রুপের লোকজন বিদ্যুতের নতুন সংযোগ পেয়ে রাতে সাইন্ড বক্স বাজায়। অপর গ্রুপ হারুন মাস্টারের লোকজন বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সাউন্ড বক্স বাজাতে নিষেধ করে। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার ভোরে দেশীয় অস্ত্র ও ঢাল-সড়কি নিয়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় সংঘর্ষে আহত হয় ৩০ জন।
আহতদের মধ্যে বাকী বিশ্বাস (৪৫), আবুল খায়ের (৫৫), হানিফ বিশ্বাস (৪৫), আমিনুল ইসলাম (৩০), ইয়াসিন বিশ্বাস (১৮), ফারুক বিশ্বাস (৩৫), জহির বিশ্বাস (৩৫), আবুল হোসেন (৫০), সুজন বিশ্বাস (২৭), বাসি বিশ্বাস (৩২), নওশের বিশ্বাসকে (৩০) বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও শাহাদত হোসেন (২৮), বাদশা বিশ্বাস (৬৫), আলামিন শেখ (১৯), হাকিম বিশ্বাস (৩৯), জিহাদ বিশ্বাসকে (২২) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যপারে আক্তার মেম্বার বলেন, রবিবার রাতে আমার লোকজন সাউন্ড বক্স বাজাচ্ছিল। হারুন মাস্টারের লোকজন সাউন্ড বক্স বাজানোর ঘটনায় অতর্কিত হামলা করে আমার লোকজনকে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনায় পরের দিন সকালে আমার লোকজন তাদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
হারুন মাস্টার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোমবার সকালে আক্তার মেম্বারসহ তার লোকজন আমার লোকজনের উপরে অতর্কিত হামলা করে।
এসআই আশুতোষ ভৌমিক বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করি। এখন কোন পক্ষই এলাকায় নাই। এখন পর্যন্ত থানায় কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল