নরসিংদীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হলেও সুস্থ রয়েছেন নবাজাতক শিশু।
সোমবার দুপুরে পৌর শহরের একটি হাসপাতালে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
এদিকে রোগী মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ভিড় জমায় রোগীর স্বজনরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত নাদিয়া আক্তার (২৩) ঘোড়াদিয়া সোনাতরা গ্রামের মাহাবুবুর রহমান আপেলের স্ত্রী।
এদিকে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় দুই লাখ টাকার বিনিময়ে রফাদফা করেন রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নিহতের স্বামী আাপেল জানায়, প্রসব ব্যথা অনুভব করলে রবিবার বিকেলে তার স্ত্রী নাদিয়াকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে রাত সাড়ে ১২টার ডা. ফরিদ উদ্দিন প্রসূতির সিজার অপারেশন করেন। নাদিয়া একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। অপারেশনের পর রোগীকে বেডে স্থান্তান্তর করা হয়। সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে চা ও রুটি খাবার দেয়। রুটি ও চা খাওয়ার পরপরই রোগীর শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই রোগী ঢলে পড়েন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা এসে রোগীকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা চালায়। অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত রোগীকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। পথিমধ্যে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে স্বজনরা নাদিয়াকে অপর একটি হাসাপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে রোগী মৃত্যুর খবর পেয়ে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে ভিড় জমায়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও রোগী মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে স্বজনদের সাথে দুই লাখ টাকায় মৃত্যুর ঘটনা রফাদফা করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতালের ডিরেক্টর আনোয়ার ভূইয়া বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন গাফিলতি ছিলনা। রাতে রোগী ভালো ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রোগীর অবস্থা খানিকটা খারাপ হয়ে যায়। পরে আমরা দ্রুত ঢাকায় প্রেরণ করি। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোগী মারা গেছে। তাই তারা অনেক কিছুই বলছে। স্বজনদের সাথে কথা বলেই বিষয়টি সমাধান কারা হয়েছে। তবে রফাদফার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন