বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই দলের হট্টগোল থেকে ১৫ জনকে আটকের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরের পর শেরপুর থানা থেকে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। আটককৃতরা যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার মহিপুর গ্রামের সোবাইদুল ইসলাম (৩২), পৌরশহরের জগন্নাথ পাড়া এলাকার কাওছার আহম্মেদ ওরফে কলিন্স (৩১), খন্দকারটোলা গ্রামের আমির হামজা (১৯), শাহবন্দেগী ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের কাওছার আলী (১৯), সাজ্জাদ আলী (১৯), মো. মেহেদী হাসান জীবন (২২), খন্দকারটোলা গ্রামের লিমন ইসলাম (১৯), ইফতেখার আলম (১৯), ফাঁসিতলা গ্রামের রাব্বী হোসেন (২০), নওদাপাড়া গ্রামের মো. রিপন (২১), মো. শিপন ইসলাম (২০), চকমুকন্দ গ্রামের মোহর আলী (২০), মামুরশাহী গ্রামের মেহেদী হাসান (২০), ফুলতলা গ্রামের নুর আলম (১৯) ও ধুনট উপজেলা তারাকান্দি গ্রামের মো. আলম মিয়া (৩৫)।
জানা যায়, ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ ও র্যালির আয়োজন করেন। বেলা ১১টার দিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর একটি র্যালি বের হয়ে বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ফিরে আসে। এদিকে একই সময় স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ডস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এতে শহরজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি এই দুইদলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলাকালে বিএনপির বেশকিছু নেতাকর্মীর সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা ও হট্টগোল শুরু হয়। এসময় সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে আটক করে।
বগুড়ার শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, রবিবার তাদেরকে আটক করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এই সময় বিএনপির মিছিল শেষ হয়। তাদেরকে ১৫১ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার দুপুরের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
