কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একাধিক মামলার দুই আসামি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সাতঘরিয়া পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জরপাড়া এলাকার শামসুল আলমের ছেলে জিয়াবুল হক প্রকাশ বাবুল্যা (৩৬) ও বাহারছড়া ইউনিয়নের শিলখালীর এলাকার কেফায়াতুল্লাহর ছেলে আজিমুল্লাহ (৪৫)।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন কক্সবাজার (উখিয়া-টেকনাফ সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিহাদ আদনান তাইয়ান, এসআই সাব্বির ও কনস্টেবল শুক্কুর ও তাইজুল।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানান, বুধবার রাতে পলাতক ওই দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সাতঘরিয়া পাহাড়ের জঙ্গলের নিচে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধারে পুলিশের একটি দল তাদেরকে নিয়ে অভিযানে যায়। ওই এলাকায় পৌঁছামাত্রই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এ সময় পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ চার সদস্য আহত হন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারেরর নির্দেশে পুলিশের জানমাল এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহগুলো হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছ।
ঘটনাস্থল থেকে ৫ হাজার ইয়াবা, একটি ডবল শুটার গান, দেশীয় তৈরি পাঁচটি এলজি, দুই রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি ও ছত্রিশ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এদিকে, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল বলেন, রাতে পুলিশ ছয়জনকে নিয়ে আসেন। এরমধ্যে মো. আজিমুল্লাহ ও জিয়াবুল হক আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিলেন। তাদের শরীরে দু’টি করে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। এছাড়া আহত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাহিদ আদনান তাইয়ান, এসআই সাব্বির ও কনস্টেবল শুক্কুর ও তাইজুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম