প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, আদিবাসীদের সংস্কৃতি বাঙালি জাতির খুবই বড় একটি গৌরবের। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এই সংস্কৃতিকে সারা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে হবে। যাতে অন্যান্য দেশের মানুষরা বুঝতে পারে আমাদের দেশ কতো সুন্দর।
বৃহস্পতিবার দিনাজপুর স্টেশন ক্লাব চত্বরে ‘সমতলের বৈচিত্র্যময় জাতিসত্তার সাংস্কৃতিক সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. গওহর রিজভী এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি মঙ্গলদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক সমাবেশের উদ্বোধন করেন।
দুই পর্বে সাজানো এই সাংস্কৃতিক সমাবেশের প্রথম পর্বে ছিল সমতলের বিভিন্ন আদিবাসী জাতিসত্তার পরিচিতিমূলক পরিবেশনা ও তাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী দ্রব্যের প্রদর্শনী। দ্বিতীয় পর্বে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করা হয়। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসকারী ১৬টি আদিবাসী জাতিসত্তার মানুষ এই সাংস্কৃতিক সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য তুলে ধরেন। প্রায় সহস্রাধিক আদিবাসী ও বাঙালি’র সমাগমে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
সমাবেশে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারা মারান্ডী। তিনি তার প্রবন্ধে সমতলে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিসত্তার পরিচয়, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তাদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বগাঁথা, তাদের ঐতিহ্যগত সাংস্কৃতিক চর্চার ক্রমবিলুপ্তি এবং বহুমাত্রিক অধিকার হীনতার কথা তুলে ধরেন।
অধ্যাপক গণেশ সরেন এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হেকস/ইপার এর কান্ট্রি ডিরেক্টর অনীক আসাদ। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন দলিত ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্পর্কিত সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের সদস্য ও সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডীয় হাইকমিশনের উন্নয়ন সহযোগিতা বিভাগের প্রধান ফেড্রা মুন মরিস, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্র নাথ সরেনসহ সরকারি বেসরকারি, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন উন্নয়ন সস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার