১৫ নভেম্বর, ২০১৯ ২০:২৪

সোনাতলায় সফুর হত্যা মামলার মূল আসামি এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া :

সোনাতলায় সফুর হত্যা মামলার মূল আসামি এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে

বগুড়ার সোনাতলায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দিন-দুপুরে বসতবাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও মারপিটের ঘটনায় নিহত সফুরা বেওয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুল হালিম ও তার দুই পুত্রকে পুলিশ প্রায় ৬ দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি।

গত রবিবার বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের সোনাকানিয়া গ্রামের মৃত ফজলুল হক মণ্ডলের পুত্র মো. আব্দুল হালিম ও তার দুই পুত্র হাসিবুর রহমান হাসিব (২৫), আহসান হাবীব (২৪) এর নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের একদল নারী ও পুরুষ সংঘবদ্ধ হয়ে হাতে রামদা, ছোরা, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে অতর্কিতভাবে একই গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে অ্যাড. মো. শহিদুল ইসলামের বসতবাড়িতে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট শুরু করে। এ সময় শহিদুলের বৃদ্ধ মাতা সফুরা বেওয়া (৬০) বাধা দিলে হামলাকারীরা তাকে বেদম মারপিট করে। এতে সে গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। এছাড়াও প্রতিপক্ষের মারপিটে আরও ৯ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে সফুরা বেওয়া গত সোমবার সকালে সোনাতলা হাসপাতালে মারা যায়। এছাড়াও জাহিদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীরা ঘরের আসবাবপত্র, টিনের বাড়িঘর ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে অ্যাড. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার ১৯ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি একই গ্রামের মৃত হামেদ আলী প্রামানিকের পুত্র ছালেক উদ্দিন প্রামানিক (৫৫), মৃত মাবেজ মণ্ডলের পুত্র আইয়ুব হোসেন (৫২), মৃত আব্দুল জলিলের স্ত্রী পারুল বেওয়া (৫০) ও মো. জিয়াদুর রহমানের স্ত্রী মোছা. আনোয়ারা বেগম (৫০) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। 

এ দিকে ওই ঘটনার মূল প্রধান আসামি আব্দুল হালিম ও তার দুইপুত্রকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। 
বগুড়ার সোনাতলা থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অচিরেই আব্দুল হালিমকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। 

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর