ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময়ে জমা দিতে পারছে না তদন্ত প্রতিবেদন। তিন কার্যদিবস অনুযায়ী রবিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাকের হোসেন চৌধুরী ও তূর্ণা নিশীথার লোকোমাস্টার তাসের উদ্দিন এবং সহকারী লোকোমাস্টার অপু দে'র সঙ্গে এখনও কথা বলতে না পারায় তদন্ত কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
তারাসহ দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়ার জন্য রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও তদন্ত কমিটির প্রধান মিতু মরিয়ম। স্টেশন মাস্টার জাকের হোসেন চৌধুরী রেলওয়ের নিজস্ব তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হওয়ার জন্য চট্টগ্রামে রয়েছেন। আর দুর্ঘটনার পর থেকে তূর্ণা নিশীথার লোকোমাস্টার তাসের উদ্দিন ও সহকারী লোকোমাস্টার অপু দে'র সন্ধান পায়নি তদন্ত কমিটি।
শনিবার দুপুরে তদন্ত কমিটির প্রধান মিতু মরিয়ম জানান, এখনও তদন্ত কাজ শেষ করতে পারিনি। স্টেশন মাস্টারসহ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কারো সাথে আমরা কথা বলতে পারিনি। স্টেশন মাস্টার চট্টগ্রাম থেকে আসার পর কথা হবে। যদি কথা বলতে না পারি তাহলে দেখা যাক কি করা যায়। আমরা রেলওয়েকে চিঠি দিয়েছে সবার সাথে কথা বলিয়ে দেয়ার জন্য। কারণ আমরা ব্যক্তিগতভাবে কাউকে খুঁজে বের করতে পারছি না। স্টেশন মাস্টার লগশিটে কি দিয়েছিলেন এগুলো কোনোকিছুই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পাইনি। সেজন্য কালকে রবিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা নাও হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে সিলেট থেকে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে আসা ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ১৬ জন যাত্রী নিহত এবং শতাধিক যাত্রী আহত হন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল