ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বনচাকী গ্রামে দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ ও হামলায় কমপক্ষে ২৫টি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই পক্ষকে ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন চতুল গ্রামের মিজানুর রহমান (২০), বাইখির গ্রামের হামিদুল খান (২১), মনোয়ার (২০), হাসমতউল্লাহ (৩৮), বনচাকী গ্রামের জিন্নাত শেখ (৪৯) ও সাকি মিয়াকে (২৪)। এ ঘটনায় বনচাকী গ্রামের সহিদুল সিকদারের স্ত্রী শাহরন বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতেই চতুল ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের একাংশের আহবায়ক শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটুকে (৪৫) প্রধান আসামিসহ ৯জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
জানা যায়, বনচাকী গ্রামের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. জালাল সিকদার ও সাবেক ইউপি সদস্য রহমান মৃধার মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। ৭-৮দিন আগে বনচাকী মাদ্রাসার শিক্ষক নুর আলমকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে রহমান মৃধার লোকজন মারধর করে। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে রহমান মৃধার লোকজন ও জালাল সিকদারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে পাল্টাপাল্টি বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। এ হামলায় রহমান মৃধার পক্ষের লোকজনের ১২-১৩টি ও জালাল সিকদারের লোকজনের ১১-১২টি বাড়ি ভাংচুর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এব্যাপারে রহমান মৃধা ও জালাল সিকদার ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। রাত থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে ওই এলাকায়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আটকৃতদের শনিবার ফরিদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক