ঠাকুরগাঁওয়ের দিগন্ত জুড়ে আগাম শীতের সবজির সমারোহ। সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন জেলার অনেক কৃষক। তাই এখানকার কৃষকরা ধান চাষের পরিবর্তে সবজি চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলায় বর্তমানে কৃষক বিকল্প ফসল হিসেবে বেছে নিয়ে সবজি চাষ। ইতোমধ্যে জেলায় সবজির চাষের বিপ্লব ঘটিয়েছে অনেকে কৃষক। আর শাক-সবজি চাষাবাদের জন্যই ঠাকুরগাঁও জেলা পরিচিতি লাভ করেছে। তেমনি শহরের পাশেই নারগুনকে ঠাকুরগাঁওয়ের সবজি গ্রাম বলা হয়ে থাকে। আর সবজি গ্রাম হিসেবে নারগুনকে চিনতে কষ্ট হয় না আশপাশের গ্রাম ও জেলাবাসীদের। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সরবরাহ করা হয় এখানে চাষ করা নানা নামের শাক-সবজি। সেই গ্রামের মত এখন জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কৃষকরা সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, সারা গ্রাম জুড়ে শুধুই সবজির আবাদ। খামার-ক্ষেতে ব্যস্ত কৃষাণ-কৃষাণীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ে গত বছরে সবজি আবাদ হয় ৫ হাজার ৪ শত হেক্টর। আর এবছর ঠাকুরগাঁওয়ে সবজি আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ২৪৮ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় এবছর সবজির আবাদ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
সফল এই কৃষকরা জানান, নিজেদের মধ্যে সমবায় ভিত্তিতে এবং স্থানীয় কৃষি অফিসের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বল্প পুঁজি খাটিয়ে তারা তাদের অভাব দূর করতে পেরেছেন। প্রতি মৌসুমে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পুঁজি খাটিয়ে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ করেছেন বলেও জানান তারা।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন জানান, কৃষি বিভাগ থেকে আগাম সবজি চাষের জন্য কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। এ অঞ্চলের সবজি বিভিন্ন দেশেও রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়া কৃষকরা যেন সহজেই কীটনাশক, বীজ, সার ও উৎপাদন সহায়ক যন্ত্রপাতি পান সেজন্য ব্লক সুপারভাইজাররা নিয়মিত তদারকি করে থাকেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার