দেশের দ্বিতীয় আর্ন্তজাতিক সমদ্র বন্দরে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের নৌযান ধর্মঘট শুরু করেছে নৌযান শ্রমিকরা। বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের ১৪ দফা ও বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে নৌযান শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করছে।
ধর্মঘটের ফলে শনিবার ভোর থেকে কার্গো, লাইটার জাহাজসহ শত-শত নৌযান মোংলা নদী ও বন্দরের পশুর চ্যানেলে নোঙ্গর করে রয়েছে। সকারের পালা থেকে মোংলা বন্দরের আউটার এ্য্ংকরেজে অবস্থানরাত মাদার ভেসেলসহ ২৩টি জাহাজ থেকে লাইটার জাহাজের পণ্য খালাস কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে প্রায় অচল হয়ে পড়েছে মোংলা সমুদ্র বন্দর।
তবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার মো. ফকর উদ্দিন জানান, বন্দরের আউটার এ্য্ংকরেজে ২৩টি জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ ধর্মঘটের কারণে বন্ধ হয়ে গেলেও বন্দর জেটিতে অবস্থানরাত ৪টি জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ চলছে।
মোংলা নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হেসেন চৌধুরী জানান, নৌযান ও নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, ডাকাতি বন্ধ, ভারতগামী নৌযান শ্রমিককে ল্যান্ডিং পাস প্রদাণ ও হয়রানী বন্ধ, নদীর নাব্যতা রক্ষা ও মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন, যাত্রীবাহী লঞ্চের পূর্ণাঙ্গ গেজেট বাস্তবায়ন না করা, সদর ঘাট, নারায়ণগঞ্জ ও নওয়াপাড়াসহ বিভিন্ন ঘাটে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবিসহ ১১ দফা দাবিতে মধ্যরাত থেকে সারাদেশের সাথে মেংলায়ও অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছে নৌযান শ্রমিকেরা। দেশের বিভিন্নস্থানে থাকা প্রায় ২০ হাজার নৌযানের (কার্গো, কোস্টার, বাল্কহেড, বার্জ ও লঞ্চ) প্রায় ২ লাখ শ্রমিক-কর্মচারী তাদের কাজ কর্ম বন্ধ রেখে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ১১ দফা দাবির বিষয়ে গত ২৭ নভেম্বর শ্রম মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে কিছু ইতিবাচক প্রস্তাব উঠে আসলেও সামগ্রিকভাবে গ্রহণযোগ্য সমাধানের রাস্তা তৈরি না হওয়ায় শ্রমিকেরা তাতে সন্তোষ্ট হতে পারেনি, তাই কর্মবিরতি পালন করতে বাধ্য হয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ