কক্সবাজারের চকরিয়ায় গরু চুরির মিথ্যা অপবাদে মা-মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় তিন আসামির রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক। সোমবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত যে কোনোদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেন।
এদিকে মা-মেয়েকে নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশ বেশ কয়েকবার অভিযান চালালেও ইউপি চেয়ারম্যান গা ঢাকা দেওয়ায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
তবে এলাকাবাসীর দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান হারবাং এলাকায় রয়েছেন। দিনদুপুরে চলাফেরা করলেও পুলিশ তাকে ধরছে না। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অনিহা রয়েছে বলে সচেতন মহলের ধারণা।
নির্যাতনের শিকার মা-মেয়ের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ আরিফ বলেন, গরু চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মা-মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় এজাহারনামীয় জসিম উদ্দিন, নাছির ও নজরুল ইসলাম কারাগারে রয়েছেন। কিন্তু প্রধান আসামি চেয়ারম্যান এখনও অধরা।
তিনি আরও বলেন, সোমবার কারাগারে থাকা তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে পাঁচদিন রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, গত ২৪ আগস্ট রাতে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হারবাং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের লালব্রিজ এলাকার নাছির উদ্দিন, জসিম উদ্দিন ও নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। ওইদিন তাদের ৫৪ ধারায় জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পরদিন ২৫ আগস্ট মা পারভীন আক্তার বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামসহ চার আসামির নাম উল্লেখ করে আরও ৩০জন অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া তিনজনকে আসামি দেখানো হয়।
অপরদিকে গত ২১ আগস্ট কথিত গরুর মালিক মাহমুদুল হক বাদী হয়ে মা-মেয়েসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি গরু চুরির মামলা করেন। গরু চুরির অপবাদে গ্রেফতার হওয়া পারভীন বেগমের ছেলে মো. এমরান ও সিএনজি চালক মো. ছুট্টু এখনও কারাগারে রয়েছেন। ওই মামলায় মা ও দুই মেয়ে জামিনে রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ