মহিলা সংরক্ষিত আসনের সাংসদ ও যুব-ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট জাকিয়া তাবাসসুম জুঁই বলেছেন, পিছিয়ে পড়া নারী সমাজের জাগরণে বেগম রোকেয়ার যে অবদান, তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
বুধবার বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনে সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কার্যক্রম অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মহিলা সংরক্ষিত আসনের এই সাংসদ।
বেগম রোকেয়ার লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে নারীদের আরও বেশি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীদের অবহেলিত রেখে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। নারী নির্যাতন বন্ধ করতে তাদের শিক্ষিত এবং সচেতন করার কোনো বিকল্প নেই।
জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শরিফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএইচএম মাগ্ফুরুল হাসান আব্বাসী, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোর্শেদ আলী খান প্রমুখ।
এছাড়াও ডে কেয়ার কর্মকর্তা রেজভীন শারমিনাজ ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. শাহিনুর আলম, জেলা শিশু একাডেমি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বাবুসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী জয়িতারা।
বক্তব্য শেষে দিনাজপুর জেলায় বিভিন্নভাবে সাফল্য অর্জনকারী পাঁচজন ও সদর উপজেলার চারজন জয়িতাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধনাপ্রাপ্ত জয়িতারা হলেন-অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনে বিরল উপজেলার কামদেবপুরের মোছা. এয়না খাতুন, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনে খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহির কৃষ্ণা রানী রায়, সফল জননী নারী হিসেবে নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুরের মোছা. জোবায়রা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করায় খানসামা উপজেলার বাসুলির ফোজিয়া খাতুন ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় চিরিরবন্দর উপজেলার বাসুদেবপুরের মোসলেমা বেগম।
এছাড়াও সদর উপজেলা পর্যায়ে চারজন জয়িতাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই