গত এক সপ্তাহ যাবত তীব্র, মাঝারি ও মৃদু শৈত্য প্রবাহে উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রাম কাঁপছে। মাঘের মাঝামাঝি শীতের তাণ্ডবে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষগুলোর অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। রাতে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবন কাহিল। গরম কাপড়েও কমছে না শীত। নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো রয়েছে চরম দুর্ভোগে।
দিনে সূর্যের আলো থাকলেও ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটছে। এদিকে ঠাণ্ডার কারণে দুর্ভোগে রয়েছে দিনমজুর, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা।
কুড়িগ্রামের সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র শীতের কারণে কাজে বের হতে পারছেন না তারা। এছাড়াও ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, ঠাণ্ডার প্রকোপে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। একটু সাবধানে থাকলে এসব রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে জেনারেল হাসপাতালের আউটডোরে ৭শ থেকে ৮শ’জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। ইনডোরে ভর্তি হচ্ছে গড়ে প্রায় ৬০জন। এদের অধিকাংশ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত।
জেলার রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বুধবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এ মৃদু শৈত্য প্রবাহ আরও দুই একদিন চলবে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর