উৎসব, সহিসংতার পর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে রাজবাড়ী পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
রবিবার সকাল ৮টা থেকে রাজবাড়ীর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১৮টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
রাজবাড়ী পৌরসভায় সুষ্ঠভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে ২৬১ জন পুলিশ সদস্য, ১৫৬ জন আনসার সদস্যের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রাজবাড়ী পৌরসভায় প্রতিটি কেন্দ্রে ১জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১ জন করে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া রাজবাড়ীতে পুলিশের ১২টি মোবাইল টিম নিরাপত্তা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজবাড়ী পৌরসভায় ৪৫ হাজার ২০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। রাজবাড়ীতে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহম্মদ আলী চৌধুরী (নৌকা), বিএনপি মনোনীত তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলমগীর শেখ তিতু (নারকেল গাছ) ও জাতীয় পার্টির মনোনীত কে এ রাজ্জাক মেরীন (লাঙ্গল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৮ জন কাউন্সিলর এবং ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ভোট দিতে আসা ভোটাররা বলেন, এখন পর্যন্ত ভোট দিতে কোন সমস্যা হয়নি। ভোটকেন্দ্রে আসার ক্ষেত্রে রাস্তায় কোন বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়নি।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, রাজবাড়ী পৌরসভাতে অবাধ, সুষ্ঠ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ তাদের পছন্দমতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনে কেউ বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করলে পুলিশ শক্ত হাতে সেটা প্রতিহত করবে।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সারোয়ার আহম্মেদ সালেহীন বলেন, রাজবাড়ীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
রাজবাড়ী পৌরসভায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা