লজ্জাবতী বানর। অর্থাৎ লাজুক বানর। বড় বড় চোখ। দেখতে বাদামি রঙের। পেঁচার মতো চোখের গঠন। অনেকটা শান্ত প্রকৃতির। অতিবিপন্ন প্রজাতির এ বানর থাকে পাহাড়ের গহিণ অর্যনে। বনে জঙ্গলে মাঝে মাঝে দেখা মিলেও লোকালয়ে দেখা যায়না একদমই। তবে সম্প্রতি টানা বৃষ্টিতে এমন একটি লজ্জাবতি বানর আশ্রয় নেয় রাঙামাটি বেতার কেন্দ্র এলাকায়।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দুপুরে আহত অবস্থায় এ লজ্জাবতি বানরটিকে উদ্ধার করে রাঙামাটি বেতার কেন্দ্রের কর্মচারী রিপন চাকমা ও রবি চাকমা। পরে খবর দেওয়া হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগে। খবর পেয়ে বেতার কেন্দ্রে ছুঠে আসেন রাঙামাটি সদরের রেঞ্জ কর্মকর্তা এস এম মাহবুবুল আলম। রাঙামাটি বেতার কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম লজ্জাবতি বানরটিকে বন বিভাগের সদরের রেঞ্জ কর্মকর্তা এস এম মাহবুবুল আলম কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় রাঙামাটি বেতারের আঞ্চলিক প্রকৌশলী আবু সায়েদ, সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক এ এম নূরুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি সদরের রেঞ্জ কর্মকর্তা এস এম মাহবুবুল আলম জানান, উদ্ধারকৃত লজ্জাবতি বানরটি অসুস্থ। তাকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পর বনে অবমুক্ত করা হবে। পার্বত্যাঞ্চলে একটা সময় বিপুল পরিমাণে এ লজ্জাবতি বানরের দেখা মিলতো। কিন্তু এখন তেমন একটা চোখে পরে না। মানুষের কারণে এসব জীব বৈচিত্র এখন প্রায় বিপন্ন। তাই বন্যপ্রাণি রক্ষার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত