কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার প্রত্যন্ত বৈদের বাজার গ্রামের অনার্স ক্লাবের তরুণরা স্বউদ্যোগে গ্রাম পর্যায়ে করোনার টিকা রেজিস্ট্রেশনের কাজ করছেন। করোনাকালীন সংকটের সময়ে তারাও নেমেছে এ করোনা যুদ্ধে। ৭টি গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষের দায়িত্ব নিয়েছে এই তরুনরা।
তাদের স্বাস্থ্য সচেনতা থেকে টিাকা প্রদানের দায়িত্ব নিয়েছে তারা। স্কুলে ক্যাম্প করে বাড়ী বাড়ী গিয়ে রেজিষ্ট্রেশনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। করোনা নিয়ে গুজব ও কুসংসার ভাঙ্গাচ্ছে ঘরে ঘরে গিয়ে। গ্রামের মানুষ তরুনদের কথা শুনছে ও বিশ্বাসও করছে। মত পাল্টিয়ে নিবন্ধন করছে শতভাগ গ্রামবাসী। রাজারহাটের ছিনাই ইনিয়েনের ৭টি গ্রামে চলছে এক উৎসবের আমেজ। পাঁচ দিনে ২ সহস্রাধিক মানুষের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে এসব তরুণ।
ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত করোনার সচেনতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছে তারা। তাদের কাজে সার্বিক সহযোগিতা করছে জেলা তথ্য অফিস কুড়িগ্রাম। শুক্রবার রাজারহাট উপজেলার পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে করোনা টিকা নিবন্ধন ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক মো. নুরুন্নবী খন্দকার, কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আহসান হাবীব নীলু, সহকারী অধ্যাপক চিন্ময় রায় পলাশ, অনার্স ক্লাবের সভাপতি নন্দ গোপাল রায়, সম্পাদক নুরনবী আলী প্রমুখ।
এ সময় তারা উপজেলার বৈদের বাজার, ছত্রজিত, রামকাগজী, বানেশ্বর, মিরেরবাড়ী ও গুরুকেষ্ট গ্রামে নিবন্ধন করান ক্যাম্পের মাধ্যমে। অনুসরনীয় এ কাজটি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে এসেছে ওরাকল ক্লাব, দিশারীসহ বেশ কয়েকটি ক্লাব।
বিদ্যানন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোমনাথ চক্রবর্তী জানান,তাদের এলাকায় অর্নাস ক্লাবটি ব্যাতিক্রমি প্রতিষ্ঠান। সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ক্লাব এটি। তারা ছুটিতে যখনই বাড়িতে আসে তখনই নানা সমাজ উন্নয়ন মুলক কাজ করে।
ওই ক্লাবের উপদেষ্টা ও উপ-পরিচালক (তথ্য) নুরনবী খন্দকার জানান, এ তরুণরা ৭দিনের মধ্যে প্রতিটি মানুষকে নিবন্ধনের আওতায় এনে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করবে। আর যে বয়স্ক মানুষরা রাজারহাট স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে পারবেন না তাদের নিজ দায়িত্বে নিজ এলাকায় ক্যাম্পের মাধ্যমে টিকার ব্যবস্থা করবে। যা সারা দেশের মাইলফলক হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন