২৬ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:৪১

জমে উঠেছে সোনাতলা পৌরসভার নির্বাচন

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

জমে উঠেছে সোনাতলা পৌরসভার নির্বাচন

শাহিদুল বারী খান রব্বানী ও জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু (ডানে)

অভিযোগ, বহিস্কার আর সুপারিশের মধ্য দিয়ে জমে উঠেছে বগুড়ার সোনাতলা পৌরসভার নির্বাচন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহিদুল বারী খান রব্বানী থাকার পরেও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মাঠে নেমেছেন বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু। একই দল থেকে দুই জন প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমে মাঠ গরম করে চলেছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘটনায় ১৯ জন নেতাকে দল থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। আগামী ২ নভেম্বর ইভিএমে এ পৌরসভার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

সোনাতলা পৌরসভার নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হলে সোনাতলা পৌর ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ৩ জন প্রার্থীর নাম সুপারিশ করে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রেরণ করে। এ তিনজন হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহিদুল বারী খান রব্বানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শাহজাহান আলী খন্দকার। অপরদিকে বর্তমান মেয়র, বগুড়া জেলা ও সোনাতলা পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে জেলায় ও কেন্দ্রে আবেদন করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন বোর্ড শাহিদুল বারী খান রব্বানীকেই আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করে। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন।

দলীয় মনোনয়নপত্র উত্তোলনের মাত্র কয়েকদিনের মাথায় কয়েকটি পত্রিকায় শাহিদুল বারী খান রব্বানীর পিতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম শামসুল হক খানকে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ হয়। সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ এর প্রতিবাদে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। এর মধ্যেই চলতে থাকে শান্তিপূর্ণভাবে উভয় পক্ষের নির্বাচনী প্রচারণা। দলীয়ভাবে মনোনীত ও বিদ্রোহী প্রার্থী সমানতালে ভোটের মাঠে নেমেছেন। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ভোট চাইছেন। আর উন্নয়নের কথা বলছেন।

২৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সোনাতলা পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নুকে বহিস্কারের সুপারিশ ও সেইসাথে নির্বাচনী কাজে তাকে সহায়তার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাহেরুল ইসলাম তাহের, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন জাকির, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর রহমান রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন দুলু, মধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি দবির হোসেন মণ্ডল, দিগদাইড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, সভাপতি মাহফুজার রহমান মাফু, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের আহবায়ক আকতার হোসেন বুলু, যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম মানিক ও তৌহিদসহ মোট ১৯ জন নেতাকে বহিস্কারের সুপারিশ কেন্দ্রে অগ্রগামী করার জন্য জেলা কমিটিতে প্রেরণ করা হয়েছে। এমনি পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মী সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

সোনাতলা পৌরসভার দ্বিতীয় নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহিদুল বারী খান রব্বানী (নৌকা প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু (নারিকেল গাছ প্রতীক) ও অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম সাকিল রেজা বাবলা (জগ প্রতীক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও কাউন্সিলর পদে ৪০ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 


বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর